পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অমর একুশে হলের শিক্ষার্থীরা জোর করে হলে প্রবেশ করেছেন। গতকাল শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
আগামী ৫ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলার সিদ্ধান্ত থাকলেও তার আগেই গতকাল দুপুরে তারা হলে প্রবেশ করেন। হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করার অনুরোধ জানালেও তাতে কর্ণপাত করেননি তারা।
থাকার ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত হল ছাড়ছেন না জানিয়ে একুশে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সারজিস আলম বলেন, হল ছাড়ার প্রশ্নই আসে না। হল ছেড়ে আমরা কই যাব! ঢাকা শহরে কেউ কারও বাসায় একদিন রাখতে চায় না। তবে ৫ তারিখ পর্যন্ত আমাদের অন্য কোথাও থাকার ব্যবস্থা করলে আমরা হল ছাড়ব। রাকিব হাসান নামের অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা এতো দিন ধৈর্য ধরতে পেরেছি। আর তিন দিন পারছি না কেন? এটা তো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বুঝতে হবে। আমরা কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে হলে উঠেছি। আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা প্রথম থেকেই দাবি জানিয়ে আসছি ১ তারিখ হল খুলতে হবে। এই পাঁচ দিনের জন্য আমরা মেস ভাড়া দিতে পারব না। প্রশাসন আমাদের সঙ্গে প্রহসন করেছে। আমরা আজ থেকেই হলে থাকব। তাছাড়া ঢাকায় আমাদের থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূইয়াঁ বলেন, অমর একুশে হলের প্রাধ্যক্ষ ড. ইশতিয়াক এম সৈয়দ আমাকে অনুরোধ করলে আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে যাই। তাদেরকে ৫ তারিখের আগে হলে না ওঠার অনুরোধ জানাই। কিন্তু তারা হল ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
অমর একুশে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ইশতিয়াক এম সৈয়দ বলেন, কিছু শিক্ষার্থী হলে প্রবেশ করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে বৈঠক করছি। আশা করি সুষ্ঠু সমাধান হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, বিষয়টা আমি জেনেছি। হল প্রশাসনকে তাদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করতে বলা হয়েছে। যারা হলে প্রবেশে করেছে তারা শিক্ষার্থী নয়। আমি বিশ্বাস করি, কোনো নিয়মিত ও মেধাবী শিক্ষার্থী এ কাজ করবে না।
এদিকে অমর একুশে হল ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও বেশ কয়েকটি হলে ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা উঠে গেছেন বলে জানা গেছে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, মানবিক কারণে হলেও ছাত্রদের হলে থাকতে দেয়া উচিত। ৫ অক্টোবরের আগে হলে উঠাকে ইস্যু করা উচিত নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।