Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

যে প্রযুক্তিকে ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনীতে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২১, ৯:১১ এএম

নতুন এক প্রযুক্তি ব্যবহারকে কেন্দ্র করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনীতে। আরএফআইডি নামক এ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে খুব সহজেই নির্দিষ্ট করা যায় অস্ত্রের অবস্থান, ব্যবহারকারীর পরিচয়সহ বিভিন্ন তথ্য। এর ফলে, অস্ত্রের নজরদারি আর রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় খুব সহজে। তবে বিশেষজ্ঞরা একে ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যা দিয়েছেন। কারণ, সিস্টেম হ্যাক হলে প্রতিপক্ষের কাছে ফাঁস হয়ে যাবে অস্ত্র ও সেনাদের সব তথ্য।

মার্কিন সামরিক বাহিনীতে প্রতিদিন কী পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহৃত হয় বা, কী পরিমাণ অস্ত্র মজুদ আছে সেই হিসাব রাখা নিঃসন্দেহে কঠিন। তবে সেই কঠিন কাজকে সহজ করতেই উদ্ভাবন করা হয়েছে নতুন এক প্রযুক্তি। আরএফআইডি নামের এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহারের সব ধরনের তথ্য অনুসরন ও লিপিবদ্ধ করা যাবে সহজেই।

ছোট্ট এই যন্ত্র স্টিকারের মতো করে লাগানো যায় যেকোনো ধরনের অস্ত্রের সাথে। সেই যন্ত্রই অস্ত্র সম্পর্কিত তথ্য পাঠায় সার্ভারে। ফলে কোথায় অস্ত্র সংরক্ষণ করা হয়েছে, কোথায় নেয়া হচ্ছে এমনকি কে ব্যবহার করছে সেই তথ্যও পাওয়া যায় সহজে। ফলে অস্ত্র রক্ষণাবেক্ষণে সময় বাঁচানো সম্ভব।
ট্র্যাকেবল সলিউশনের একজন মুখপাত্র বলছেন, এই রেডিও ট্র্যাকিং সিস্টেম একটা নির্দিষ্ট তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে অস্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কিত সব তথ্যই লিপিবদ্ধ করা সম্ভব। এতে করে আলাদা করে তালিকা করার প্রয়োজন নেই। ফলে অনেক সময় বাঁচবে।

তবে এরই মধ্যে এই যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, কোনোভাবে এই সিস্টেম হ্যাক করা গেলে অস্ত্র সম্পর্কিত সব তথ্য চলে যাবে শত্রুর কাছে। এমনকি এটি রাডারেও ধরা পড়ে খুব সহজে।

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মার্ক রজার্স বলেন, দেখা গেলো যে, সন্ত্রাসীরা আগে থেকে বিস্ফোরক পেতে সেখানে এই যন্ত্র শনাক্তকারী ট্র্যাকার বসিয়ে দিয়েছে। এখন যদি এই যন্ত্র লাগানো অস্ত্র নিয়ে মার্কিন সেনারা সেখানে যায়, তাহলে ট্র্যাকার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বোমাগুলোকে সক্রিয় করে তুলবে। তখন বিস্ফোরণ ঘটবে।

এছাড়াও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিন প্যাগেট জানান, এই যন্ত্র দিয়ে খুব সহজেই ট্র্যাকিং সিস্টেমে হ্যাক করা যায়। অস্ত্রের সাথে থাকা যন্ত্রগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব। তখন সহজেই বোঝা যাবে কতজন সেনা সদস্য রয়েছে একটা দলে। এমনকি কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে অভিযানে সেটাও জেনে ফেলা যাবে। ফলে শত্রুরা খুব সহজেই সতর্ক হয়ে যাবে। যদিও এর উদ্যোক্তাদের দাবি এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ।

ট্র্যাকেবল সলিউশনের সিইও এরিক কলিন্সের দাবি, এটা পুরোপুরি নিরাপদ। কোনভাবেই এই সিস্টেম সেনাদের জীবনকে ঝুকিতে ফেলবে না। এমনকি কেউ চাইলেই এটি হ্যাক করতে পারবে না। এরইমধ্যে আর এফ আইডি ব্যবহারে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকটি ইউনিট। সূত্র : সিএনএন



 

Show all comments
  • Mohammad Forhad ১ অক্টোবর, ২০২১, ১১:৩০ এএম says : 0
    ফিরে পাবার আশাটা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছি, এখন শুধু ভুলে যাবার চেষ্ট করি
    Total Reply(0) Reply
  • Sanjoy Dabnath ১ অক্টোবর, ২০২১, ১১:৩১ এএম says : 0
    আমার জানা মতে এটা শুধু আমেরিকান সেনার মধ্যেই সিমাবদ্ধ না।।
    Total Reply(0) Reply
  • Zayed Shuvo ১ অক্টোবর, ২০২১, ১১:৩২ এএম says : 0
    মার্কিন আর্মিদের ভিতরে যে পরিমান ধর্ষন হয় তা ওরা কখোনই মিডিয়াতে প্রকাশ করেনি
    Total Reply(1) Reply
    • ১ অক্টোবর, ২০২১, ১:২৭ পিএম says : 0
  • Ab Kader ১ অক্টোবর, ২০২১, ১১:৩৩ এএম says : 0
    ইউরোপ আমেরিকান্দের কোন মানবতা নাই ওরা শুধু মুখেই ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত মানবতা বলে চিল্লায় ওরা বিনা স্বার্থে কোন কাজ করেনা (খুবই অল্প কিছু মানুষ আছে ভালো)
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ