মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের কারাগারে ভয়াবহ দাঙ্গায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসসো এই তথ্য জানান। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
গতকাল মঙ্গলবার ইকুয়েডরের গুয়ায়েস প্রদেশের পেনিটেন্সিয়ারিয়া ডেল লিটোরাল এলাকার কারাগারে বন্দিদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৮০ জন বন্দি।
এ নিয়ে এ বছর ইকুয়েডেরের কারাগারে তৃতীয় দাঙ্গার ঘটনা ঘটল। ফেব্রুয়ারি ও জুলাইতে দেশটির অন্য কারাগারে দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। তবে, মঙ্গলবারের ঘটনা সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল। ফেব্রুয়ারির ঘটনায় ৭৯ জন আর জুলাইয়ের ঘটনায় অন্তত ২২ জনের প্রাণহানি ঘটে।
প্রায় পাঁচ ঘণ্টার অভিযানে গত মঙ্গলবার কারাগারের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। ১০টা ৪০ মিনিটে ভেতরে প্রবেশ করেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর বেলা ২টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় নিরাপত্তা বাহিনী।
এদিকে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ওই কারাগারে নিরাপত্তা বাহিনীর আরও বেশি সংখ্যক সদস্য পাঠনোর ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে দেশের কারাগারগুলোতে প্রাণঘাতী দাঙ্গা এড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড়ের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
দেশের সবচেয়ে বড় শহর গুয়াইয়াকুইলে বুধবার ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসসো সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দের কারণে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো কারাগারগুলোকে কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছে। মহান সৃষ্টিকর্তা ইকুয়েডরের ভালো করুন যেন আমরা প্রাণহানির সংখ্যা এড়াতে পারি। এটিই আমার প্রার্থনা।’
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, কারাগারের জানালা থেকে গুলি ও বিস্ফোরক ছুড়ছেন কয়েদিরা। গুয়াইয়াকুইলের প্রধান পুলিশ কর্মকর্তা ফাউস্তো বুয়োনানো এএফপিকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের সংঘাতে অ্যাসল্ট রাইফেল, পিস্তল, গ্রেনেড ও ধারাল অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে কারারক্ষীদের।
দক্ষিণ আমেরিকা থেকে মেক্সিকো হয়ে মাদকের যেসব চালান যুক্তরাষ্ট্র যায়, সেগুলোর প্রধান রুট হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে ইকুয়েডর। বিপুল ঝুঁকি এবং একই সঙ্গে প্রচুর অর্থ থাকায় এ কারণে ইকুয়েডরের বন্দর এলাকাগুলোতে প্রভাব বাড়ছে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্যাংয়ের, যারা কোনো না কোনোভাবে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত।
গুয়াইয়াকুইল ইকুয়েডরের প্রধান বন্দর শহর হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই শহরটিতে এসব গ্যাংয়ের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি। সূত্র : রয়টার্স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।