মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মাস কয়েক আগে নভজ্যোত সিং সিধুকে পাঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়েছিল। এবার সেই সিধুই কংগ্রেসে গান্ধী পরিবারকে রীতিমতো বেকায়দায় ফেলে দিলেন। মঙ্গলবার রাতে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে পাঠানো পদত্যাগপত্রে সিধু বলেছেন, পাঞ্জাবের ভবিষ্যৎ ও পাঞ্জাবের মানুষের কল্যাণের সঙ্গে তিনি আপস করতে পারবেন না। কীভাবে এই আপস হচ্ছে, ঠিক কোন ঘটনার জেরে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন, সেসব কিছুই বলেননি তিনি।
কিছুদিন আগেই সিধু সহ কিছু বিধায়কের দাবি মেনে নিয়ে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-কে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন রাহুল, প্রিয়ঙ্কারা। অমরিন্দর নিজেই ইস্তফা দেন। তারপর সিধুর কাছের মানুষ চরণজিৎ সিং চান্নিকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। সিধুর সুপারিশেই করা হয়। এরপর গান্ধী পরিবার সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব ভেবেছিলেন, পাঞ্জাবে দলীয় সমস্যার সমাধান হলো। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের স্বপ্নভঙ্গ হলো। নতুন মুখ্যমন্ত্রী চান্নি বলেছেন, তিনি সিধুর সঙ্গে কথা বলবেন। আর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং বলেছেন, এরকমই হওয়ার কথা ছিল।
সিধু নিজে কিছু বলেননি, তবে কংগ্রেস সূত্র জানাচ্ছে, এর পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ আছে। প্রথম কারণ, নতুন মন্ত্রিসভায় এমন কিছু মন্ত্রী নেয়া হয়েছে যাদের নিয়ে সিধুর ঘোরতর আপত্তি রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। আর তারা ক্যাপ্টেনের কাছের নেতা। এরকমই একজন হলেন সুখবিন্দর রনধাওয়া। তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে। তাছাড়া যাদের তিনি মন্ত্রিসভায় চেয়েছিলেন, তাদের অনেককে নেয়া হয়নি।
প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তার মতে, এর থেকেও বড় কারণ আছে। ডয়চে ভেলেকে তিনি জানিয়েছেন, ‘সিধু যে মুখ্যমন্ত্রী হতে চান, সেটা সকলেই জানেন। সম্প্রতি এআইসিসির তরফে পাঞ্জাবের দায়িত্বে থাকা হরিশ রাওয়াত বলে দেন, পরের নির্বাচন সিধুকে সামনে রেখেই লড়া হবে। কিন্তু রাহুল জানান, সিধু নন, দলিত মুখ্যমন্ত্রী চান্নিকে সামনে রেখেই লড়বে কংগ্রেস। ফলে ভোটে জিতলে চান্নি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন তা স্পষ্ট হয়ে যায়। এতেই সিধু রেগে যান।’
এছাড়া সিধু এপিএস দেওলকে অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসাবে চাননি। ডিজিপি-র নিয়োগ নিয়েও সিধুর আপত্তি ছিল। শরদের মতে, ‘সিধু বাইরে থেকে এই সরকারকে চালাতে চেয়েছিলেন। তা না হওয়ায় পদত্যাগ করলেন।’ সিধুর এভাবে পদত্যাগ করা কংগ্রেসের কাছে ধাক্কা। কারণ, পাঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন আসছে। আর এখানে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ ক্রমশ শক্তিসঞ্চয় করছে। আকালিরাও রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়েছে।
শরদ মনে করেন, সিধু যেভাবে কংগ্রেসের সভাপতি পদে ইস্তফা দিয়েছেন, তাতে অন্য কোনো দল তাকে নিতে চাইবে কি না সন্দেহ। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের পাশাপাশি সিধুরও ক্ষতি হবে। এর আগে ক্রিকেটার থাকার সময় তিনি দলের কাউকে না বলে বিদেশ থেকে সফরের মাঝপথে চলে এসেছিলেন। রাজনীতিতেও তিনি একইরকম আচরণ করছেন। এর ফলে বিরোধীদেরই লাভ হবে। সূত্র: পিটিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।