নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে চার বিদেশির মধ্যে আন্দ্রে রাসেলের খেলাটা মোটামুটি সব সময়ই নিশ্চিত থাকে। আগের ম্যাচগুলিতে সুযোগ খুব একটা ছিল না। কিন্তু ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার যখন চোট পেয়ে বাইরে, খেলাও শারজাহর মন্থর ও চটচটে উইকেটে, গতকাল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে কেকেআর একাদশে জায়গা পেতেই পারতেন সাকিব আল হাসান। সে আশায় গুড়ে বালি। এদিনও জায়গা হয়নি ওয়ানডের বর্তমান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। করোনায় ভারতে আইপিএল স্থগিত হওয়ার আগে সেখানে কলকাতার খেলা সাত ম্যাচের মধ্যে প্রথম তিন ম্যাচে খেলেছিলেন সাকিব। পরের চার ম্যাচ খেলেন সুনীল নারাইন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্ব শুরুর পর থেকেই কলকাতার একাদশে জায়গা হচ্ছে না সাকিবের। আরব আমিরাতে গতকালের আগপর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলেছে কলকাতা। এই তিন ম্যাচেই স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে সাকিবের জায়গায় নারাইনকে খেলায় কেকেআর।
অলরাউন্ডারের জাত ও সামর্থ্য বিবেচনায় সাকিবের সঙ্গে নারাইনের তুলনা চলে না। পাশাপাশি কলকাতার প্রথম তিন ম্যাচে সাকিব প্রত্যাশার প্রতিদানও দিতে পারেননি। ৩ ম্যাচ মোট ৩৮ রান, সর্বোচ্চ ২৬ আর বোলিংয়ে ৮১ রানে ২ উইকেট। বাংলাদেশের এই তারকা অলরাউন্ডারকে এরপরই বসিয়ে রাখে কলকাতা। ৭ ইনিংসে ৬.৮৯ ইকোনমি রেটে ৭ উইকেট নেন নারাইন। গড় ২৭.৫৭, স্ট্রাইক রেট ২৪.০। সাকিব ৩ ম্যাচে ওভারপ্রতি ৮.১০ রান গড়ে নেন ২ উইকেট। গড় ৪০.৫০, স্ট্রাইক রেট ৩০.০। ব্যাটিংয়ে তাকালে সাকিবের চেয়ে বেশি বাজে পারফর্ম করেছেন নারাইন। ২.৫০ গড়ে মাত্র ১০ রান করতে পেরেছেন ক্যারিবিয়ান তারকা। অর্থাৎ বোলিংয়ে নারাইন এগিয়ে, এই বিবেচনায় তাঁকে এসব ম্যাচে খেলিয়েছে কলকাতা। গতকালও নারাইনকে একাদশে রেখে সাফল্য পেয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি, জিতেছে ৩ উইকেটে। রাসেল খেলতে না পারায় বিদেশি কোটায় সাকিবকে খেলানোর সুযোগ ছিল দলটির। নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদির কলকাতার হয়ে অভিষেক ঘটেছে রাসেলের জায়গায়।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট মন্থর। এদিকে সাউদি পেস ও সুইং-বান্ধব উইকেটে দারুণ কার্যকরী। শারজাহর উইকেট নিয়ে ম্যাচের আগে দিল্লির ঋষভ পন্ত বলেছেন, ‘উইকেট মন্থর। ১৫০-১৬০ রানই হবে ভালো স্কোর।’ এই মন্থর উইকেটে সাউদির জায়গায় সাকিবকে খেলালে কলকাতার বেশি লাভবান হওয়ার সুযোগ ছিল, এমন ভাবতে পারেন অনেকেই। তবে কলকাতা টিম ম্যানেজমেন্টেরও কিন্তু পাল্টা যুক্তি দেওয়ার জায়গা থাকে। দিল্লির বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন সাকিবকে না খেলানোর ব্যাখ্যা দিয়েছেন কলকাতার সহকারি কোচ অভিষেক নায়ার, ‘শারজার মাঠ ছোট। অধিনায়ক ভেবেছেন, এখানে তিন স্পিনার খেলানো কঠিন হয়ে উঠতে পারে। পেসের কথা ভেবেই সাউদিকে নেওয়া হয়েছে।’ অন্যদিকে সাকিবের ব্যাটিংয়ের সামর্থ্য ‘প্রমাণিত’ হলেও বোলিংয়ের কারণেই এগিয়ে রাখা হয়েছে সাউদিকে, জানিয়েছেন নায়ার, ‘অবশ্যই, সে (সাকিব) প্রমাণিত পারফরমার এমন কন্ডিশনে। তবে আমরা অতিরিক্ত একজন পেসার খেলাতে চেয়েছি, যে পাওয়ার প্লে-তে বোলিং করতে পারে।’
সব মিলিয়ে মোট পাঁচ বোলার খেলাচ্ছে কলকাতা- তিন পেসার ও দুই স্পিনার। টিম সাউদি, লকি ফার্গুসন ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার জায়গায় সুযোগ পাওয়া স›দ্বীপ ভারিয়ার কলকাতার পেস বিভাগ সামলাচ্ছেন। স্পিন বিভাগে দুজনেই বৈচিত্র্যময় বোলার, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা কার্যকর ও পরীক্ষিত। নারাইনের বৈচিত্র্যের অভাব নেই, তার সঙ্গে লেগ স্পিনার ও গুগলিতে কুশলী বরুণ চক্রবর্তী। দিল্লির প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে তিনজন ধ্বংসাত্মক বাঁহাতি রয়েছেন- শিখর ধাওয়ান, ঋষভ পন্ত ও শিমরন হেটমায়ার। সা¤প্রতিক ক্রিকেটের প্রথা মেনে ছোট সীমানার মাঠে তাঁদের বিপক্ষে বাঁহাতি স্পিনার খেলানোর ঝুঁকি হয়তো নিতে চায়নি কলকাতা।
এ-তো গেল কলকাতার প্রেক্ষাপট। আর বাংলাদেশ, কিংবা সাকিব? সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অবধারিতভাবেই দলের সেরা তারকা সাকিবই। তাকে ঘিরেই জয়ের ছক কষতে হয় মাহমুদউল্লাহ-ডোমিঙ্গোদের। যদি এভাবে কোনো ম্যাচ না খেলে, বসে বসে চেয়ার গরম করেই দন কাটে তবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে এর প্রভাব পড়তে বাধ্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে সমালোচনা। কেউ কেউ বলছেন সাকিবকে দিনের পর দিন বসিয়ে রেখে মানসিক চাপের মধ্যে রেখে বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে দুর্বল করে ফেলার চক্রান্ত এটি। কেননা প্রথম রাউন্ডে ‘বি’ গ্রæপে থাকা বাংলাদেশ সুপার টুয়েলভে উঠলেই পড়বে গ্রæপ-২ তে। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে আছে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ডও!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।