মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে দিন দিন তীব্র হয়ে ওঠা খাদ্যসঙ্কট ও মানবিক বিপর্যয় রোধে দেশটিতে খাদ্যসামগ্রী, ত্রাণ ও অর্থসহায়তা পাঠাতে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর আল জাজিরার।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ লেনদেন বিষয়ক নির্বাহী সংস্থা ট্রেজারি বিভাগ সম্প্রতি দু’টি সাধারণ লাইসেন্স বা বৈধতাপত্র চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রথম লাইসেন্সের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার, এনজিও এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার বা তাদের সহযোগী হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে অর্থ লেনদেন করতে পারবে। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বা দেশটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো সংস্থা যদি তালেবান বা হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে আর্থিক যোগাযোগ স্থাপন করতে চায়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই সরকার বা সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ওই লাইসেন্স নিতে হবে।
দেশটিতে খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা উপকরণ পাঠানোর জন্য চালু করা হয়েছে দ্বিতীয় লাইসেন্সটি। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বা দেশটির সঙ্গে কোনোভাবে সংশ্লিষ্ট সব বেসরকারি সংস্থার ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে বলে শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ট্রেজারি বিভাগ।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ট্রেজারি ও বিদেশি সম্পদ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক আন্দ্রেয়া গাকি স্বাক্ষরিত সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আফগানিস্তানের জনগণকে মানবিক সহায়তা সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফাগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর প্রায় ২০ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা তালেবান গোষ্ঠী গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দখল নিয়েছে। দেশটিতে নতুন একটি সরকারও গঠন করেছে তারা।
তালেবান বাহিনী ও তার সহযোগী হাক্কানি নেটওয়ার্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। ফলে, দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভে জমা থাকা প্রায় ১ হাজার কোটি ডলার তুলতে পারছে না আফগানিস্তানের নবগঠিত তালেবান সরকার।
পাশপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো সংস্থার পক্ষেও এতদিন পর্যন্ত আফগানিস্তানে অর্থ, খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা সামগ্রী পাঠানো সম্ভব হচ্ছিল না নিষেধাজ্ঞার কারণে।
এদিকে, জাতিসংঘ সম্প্রতি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের প্রায় দুই কোটি মানুষ, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার অর্ধেক, খাদ্য ও ওষুধ সংকটসহ চরম মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছেন। এই বিপর্যয়ের একটি কারণ যুদ্ধ-সংঘাত এবং অপর কারণ গত চার বছরের মধ্যে দুইবার খরার প্রকোপ, যার ফলে চলতি বছর মারাত্মকভাবে ব্যহত হয়েছে আফগানিস্তানের কৃষি উৎপাদন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত সপ্তাহে বলেছেন, আফগানিস্তান বর্তমানে দনাটকীয় মানবিক বিপর্যয়ের’ দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছে। জাতিসংঘ আফগানিস্তানের সংকটপীড়িত সাধারণ জনগণের পাশে থাকবে বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ও বিদেশী সম্পদ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের এক কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমরা আফগানিস্তানের সাধারণ জনগণ চরম সঙ্কটের মধ্যে আছেন- এটা আমরা জানি এবং বুঝতে পারি। আমরা সবসময়েই আফগান জনগণের পাশে ছিলাম, এখনও আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। তাদেরকে সবরকম মানবিক সহায়তা দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ সূত্র : আল জাজিরা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।