Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দরে ২১০ বিলিয়ন রুপির হেরোইন জব্দ, চরম সমালোচিত মোদী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৯:২০ পিএম

গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দরে গৌতম আদানি কর্তৃক ২১০ বিলিয়ন ($ ৩ বিলিয়ন) মূল্যের ৩০০০ কিলোগ্রাম হেরোইন জব্দ করার পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পিন-ড্রপ নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।-এপিপি

হিন্দুস্তান টাইমসের মতে, ভারতে সর্বকালের সবচেয়ে বড় একক মাদকদ্রব্য হেরোইনটির চালান আফগানিস্তান থেকে দুটি কনটেইনারের মাধ্যমে আদানি বন্দর এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিচালিত বন্দরে পাঠানো হয়েছিল।

গৌতম আদানি, যিনি মোদীর নির্বাচনী এলাকা গুজরাটের বাসিন্দা। দেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ কার্গো চলাচলের মালিক এবং গুজরাট, মহারাষ্ট্র, গোয়া, কেরালা, অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং ওড়িশার সাতটি সমুদ্র অঞ্চলে ১৩টি অভ্যন্তরীণ বন্দর পরিচালনা করেন। এছাড়াও, বন্দরে নরেন্দ্র মোদীর পঁচিশ শতাংশ শেয়ার সংক্রান্ত তথ্য দেশে অনেক মাদক চোরাচালানকে উৎসাহিত করার জন্য তাঁর দিকে আঙুল তুললে তিনি ভুরু কুঁচকেছিলেন। মুন্দ্রা বন্দর থেকে হেরোইন বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ এবং সাংবাদিকরা আদানি গ্রুপ এবং মোদী সরকারকে লক্ষ্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার ঝড় তুলে।

কংগ্রেস কেন্দ্রকে আক্রমণ করে জিজ্ঞাসা করে যে, এই ধরনের মাদক সিন্ডিকেট ভারতে কীভাবে সরকারের নাকের ডগায় কাজ করছে এবং সেইসাথে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো কি করছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, গুজরাটের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কেন এই মাদক সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছেন না? তিনি বলেন, ভারতে মাদক পাচার গত কয়েক বছরে যথেষ্ট বেড়েছে। তিনি বলেন, এটি শুধু ভারতের তরুণদের ভবিষ্যতকেই ধ্বংস করবে না, বরং এটি বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর জন্য সম্ভাব্য অর্থায়নের পথ খুলবে।

বিজেপির রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সুব্রহ্মণ্যম স্বামী হেরোইন ধরার পর একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা গান্ধী নগর সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞদের মতে "অত্যন্ত উচ্চমানের" বলে প্রমাণিত হয়েছিল। তেলেগু দেশম পার্টির নেতা, ধুলিপল্লা নরেন্দ্র কুমার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন যে, ভারত অবৈধ মাফিয়ার কেন্দ্রস্থল হিসেবে আবির্ভূত হওয়া ভারতের জন্য লজ্জাজনক। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মাদক ও ইউরেনিয়াম মাফিয়ার পক্ষে সরকার ও শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের সমর্থন ছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশে (ভারতীয় রাজ্য) কীভাবে কাজ করা সম্ভব?



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ