বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার আটিপাড়া বাজারে দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে নিহত গ্রাম্য চৌকিদার আব্দুল জলিল হত্যা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের দুই জনকে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ নজরূল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক রয়েছে। আসামিরা হল সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার রেজওয়ান গোলদারের ছেলে শহিদুল গোলদার ও পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের সুলতান শেখের ছেলে আনোয়ারুল শেখ।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ জানুয়ারী পাইকগাছা থানা পুলিশ জানতে পারে অস্ত্রের একটি চালান স্থানীয় কাটিপাড়া বাজার এলাকা দিয়ে যাবে। এটা জানতে পেরে পুলিশ বাজারে চেকপোস্ট বসায়। এরই মধ্যে পাইগাছার চিহ্নিত তিন সন্ত্রাসী মোটর সাইকেলযোগে দুপুর ২ টার দিকে কাটিপাড়া বাজারে পৌছায়। বাজারে পৌছানো মাত্র পুলিশ তাদের গতি রোধ করে। এসময় পুলিশ সদস্য দীপংকর তাদের কাছে পৌছানো মাত্র সন্ত্রাসী শহিদুল কোমর থেকে পিস্তল বের করে পুলিশের গলায় ঠেকিয়ে ধরে। শুরু হয় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি। এটা দেখে গ্রাম্য চৌকিদার আব্দুল জলিল তাদের নিকটে গেলে শহিদুল তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গুলিটি আব্দুল জলিলের মাথা ভেদ করে বের হয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। পরপরই পুলিশের কনষ্টেবল জামাল এগিয়ে গেলে তার কাছ থেকে সন্ত্রাসী রাশেদ গোলদার রাইফেল কেড়ে নেয় এবং মোটরসাইকেল চালক আনোয়ার ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তবে পুলিশের হাতে আটক হয় ঘাতক শহিদুল গোলদার।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- শহিদুল গোলদার, রাশেদ গোলদার ও আনোয়ার। ঘটনার কয়েকদিন পর পুলিশের খোয়া যাওয়া রাইফেল ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এ মামলায় তিন দফায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রীর নারাজি আবেদনের কারণে দ্বিতীয় দফায় আরও তিনজনের নাম অর্ন্তভুক্ত করা হয় চার্জশিটে। তারা হলেন- ওই এলাকার মজিদ গোলদার, আজিজ গোলদার ও ফজলুর রহমান মোড়ল।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আহাদুজ্জামান জানান, মামলার আসামি রাশেদ গোলদার ইতিপূর্বে বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। মামলার অপর তিন আসামি মজিদ গোলদার, আজিজ গোলদার ও ফজলুর রহমান মোড়লের নাম উচ্চ আদালতে নির্দেশে বাদ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।