গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুইজন। তাদের মধ্যে রামপুরায় ঘরের দরজা ভেঙে লামিয়া আক্তার নামে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামীকে পাওয়া যাচ্ছে না।
গতকাল রামপুরা থানার এসআই ইয়াকুব আলী জানান, গত বুধবার দুপুরে খবর পেয়ে পূর্ব রামপুরা জামতলা এলাকার একটি চারতলা বাড়ির ফ্ল্যাটের ঘরের দরজা ভেঙে লামিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। স্বামী হৃদয় ফকিরের সঙ্গে তিনি সাবলেট ভাড়া থাকতেন। লাশ উদ্ধারের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, লাশটি অর্ধগলিত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে বেশ কয়েক দিন আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের স্বজনদের বরাদ দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ৪/৫ দিন আগে থেকে এই দম্পতিকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাদের স্বজনরা খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে ওই বাসায় যান। সেখানে গিয়ে দরজা তালা লাগানো পান। আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন ওই বাসায় তারা সবলেট থাকতেন। বাসার সামনে গিয়ে দুর্গন্ধ পান তারা। পরে বিষয়টি থানায় জানান। পুলিশ সেখানে গিয়ে তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পান।
নিহতের বোনের স্বামী নুরুজ্জামান জানান, প্রেম করে গত রোজার আগে তারা বিয়ে করেন। তার স্বামী হৃদয় একটি গাড়ির ওয়ার্কসপে কাজ করতেন। দুই মাস আগে নুরুজ্জামান এই দম্পতির বাসায় বেড়াতে আসছিলেন উল্লেখ করে বলেন, ৪/৫ দিন ধরে তাদের মোবাইল ফোনে পাচ্ছিলাম না। বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় গতকাল বাসায় আসি। এসে বাসার ভেতর থেকে গন্ধ পাই। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। হৃদয়ের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, যার বাসায় তারা সাবলেট ছিলেন, তার স্ত্রীর সন্তান হওয়ায় তারা অনেক দিন ধরে গ্রামের বাড়িতে আছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি। এদিকে, গতকাল সকালে মেরুল বাড্ডায় পাইলিংয়ের কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেহেদী হাসান নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের সহকর্মী মো. মেহেদী হাসান বলেন, মেহেদী হাসান গাজী পাইলিং কোম্পানিতে কাজ করার সময় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে অচেতন হয়ে পড়েন। তৎক্ষণাৎ আমরা তাকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসি। পরে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও বলেন, মেহেদী মেরুল বাড্ডা থাকতেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানা এলাকায়। তিনি হেলাল উদ্দিনের ছেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।