গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় প্রাণ গেল দুইজনের। তাদের মধ্যে লালবাগে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফারজানা আক্তার নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে লালবাগের হোসেন উদ্দীন লেন এলাকার একটি বাসায় এই ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সোয়া ১২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বামী মো. অপু জানান, ফারজানা তার চাচাতো বোন। প্রেম করে তারা বিয়ে করেন। তাদের চার বছর বয়সী একটি বাক প্রতিবন্ধী সন্তান রয়েছে। ওই সন্তানের নানা আবদার নিয়ে রেগে যান ফারজানা। এরপর তাকে মারধর করেন। এনিয়ে অপুর সঙ্গে ফারজানার ঝগড়া হয়। এতে অভিমান করে তার রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন ফারজানা। পরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খুললে সেটে ভেঙে ভিতরে গিয়ে অপু দেখেন তার স্ত্রী ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছেন। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ফারজানা গাজীপুরের টঙ্গীর কলেজ গেট আউশপাড়া এলাকার আমির হোসেনের মেয়ে। বিয়ের পর রাজধানীর লালবাগ হোসেন উদ্দীন লেন এলাকায় স্বামীর সঙ্গে বসবাস করতেন তিনি।
এদিকে, গত রোববার রাতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অজ্ঞান পার্টির’ খপ্পরে পড়েন মোকসেদ আলী মণ্ডল (৭০) ও তার স্ত্রী জীবন নেসা (৬০)। ওই রাতেই অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের ৭০১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন তারা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে মারা যান মোকসেদ আলী মণ্ডল। তবে তার স্ত্রী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।
মোকসেদ আলী মণ্ডল রাজধানীর রামপুরায় একটি আবাসিক ভবনের সিকিউরিটি গার্ড ছিলেন। তিনি জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছি গ্রামের মৃত আব্দুল খলিল মণ্ডলের ছেলে। তার পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।