বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মো.সুজন হাওলাদার (৩০) নামের এক জেলের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ৪ নৌ-পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের ঢোস এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। মৃত সুজন চর বালিয়াতলী এলাকার মৃত সত্তার হাওলাদারের ছেলে। চার ঘন্টা পর কলাপাড়া ও মহিপুর থানা পুলিশসহ উপজেলা প্রশাসন বিকাল চারটা পর অবরুদ্ধ পুলিশ উপ-পরিদর্শক মামুনসহ চার নৌ-পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় ও ট্রলারের মাঝি মাসুদ চৌকিদার জানান, সকালে তারা বাবলাতলা ঢোস এলাকা থেকে ৫ জেলেসহ একটি মাছধরা ট্রলার নিয়ে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে সাগরে রওয়ানা দেয়। এসময় পায়রা বন্দর নৌ-পুলিশের এএসআই মামুনসহ ৪ পুলিশ সদস্য একটি ট্রলার নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। ঘন্টাব্যাপী ধাওয়ার পরে জেলেদের ট্রলার ফের বাবলাতলা ছোট ঢোসের খালে প্রবেশ করে ৫ জেলের মধ্যে ৪ জন পালিয়ে যায়। এসময় ট্রলারে থাকা জেলে সুজনকে আটক করে নৌ-পুলিশের সদস্যরা মারধর করে বলে দাবি তাদের। তাকে স্থানীয়রা অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শতশত জেলে ও স্থানীরা প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় জেলে ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তবে অভিযুক্ত পায়রা বন্দর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো.মামুন সাংবাদিকদের জানান, তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত জেলে সুজন হাওলাদারকে জালের উপর শুয়ে থাকা অবস্থায় দেখেছেন। কোন পুলিশ সদস্য তাকে মারধর করেনি।
কলাপাড়া থানার ওসি তদন্ত মো.আসাদুর রহমান জানান, লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্টের পর প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।