পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইসরাইলের দখলকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় বহু সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে ইসরাইলি সেনারা। সম্প্রতি উচ্চ-নিরাপত্তাযুক্ত কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দি পালানোর ঘটনার পর এ গণ-গ্রেফতার চালাচ্ছে ইসরাইল। বেশ কয়েকদিন ধরেই এ অভিযান চলছে। সেপ্টেম্বরের শুরুতে ইসরাইলি কারাগার থেকে উঁচু পর্যায়ের ছয় ফিলিস্তিনি বন্দি পালিয়ে যাবার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় এক শ’ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পিএলও’র আলোচনা বিষয়ক বিভাগ এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের সংগঠন অ্যাডামির। জেল পালানোর সময় থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৪ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করা হচ্ছে। অ্যাডামির-এর মুখপাত্র মিলেনা জানান, ইসরাইলের অভ্যন্তরে যেসব ফিলিস্তিনি আটক হয়েছেন, এ সংখ্যা তাদের বাইরে। আজ রবিবার জেনিন শহরে সর্বশেষ দু’জনের আত্মসমর্পণের ফলে এখন জেল-পালানো ছয় ফিলিস্তিনিই ইসরাইলের হাতে রয়েছেন। জেনিন এলাকায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনুসন্ধানে গিয়ে ইসরাইলি বাহিনী পালিয়ে যাওয়া লোকদের পরিবারের বিরুদ্ধেও প্রতিশোধমূলক অভিযান চালায়। ইতোমধ্যেই সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। অবশ্য কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রামাল্লা, হেবরন, নাবলুসে এবং আশেপাশের গ্রামগুলোতেও ঘেরাও ও গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। এবার অনেক ফিলিস্তিনি শিশুকেও আটক করছে ইসরাইলি সেনারা। রামাল্লার কাছে নিলিন শহরে গত সপ্তাহে মুস্তাফা নামের এক শিশুকে আটক করেছে তারা। শিশুটি তখন সেখানকার ইসরাইলি বসতির দেয়ালের কাছে গিয়েছিল। মুস্তাফার বাবা খলিল আমিরা আলজাজিরাকে বলেন, মুস্তাফা ও তার কাজিন মুহাম্মাদকে (১৫) ইসরাইলি সেনারা আটক করে এবং দশ সেনা মিলে তাদেরকে মারধর করে। তাছাড়া খাবার ও পানি না দিয়ে সারারাত তাদেরকে আটক রাখে। ছবিতে মোস্তফার চোখ ফোলা ও ক্ষতযুক্ত ও তার মুখে কাটা দাগ দেখাচ্ছিল। আমিরা বলেন, সেনারা তার ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ করার আগে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যায়, আর পুলিশ তাকে দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাবাদ করে। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, কেন এতগুলো সেনা একটি বাচ্চা ছেলেকে এভাবে মারবে? তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা থাকলে তারা কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বা অভিযোগ আনেনি?। আমিরা আরো বলেন, ছেলেকে তিনি স্কুলে পাঠাচ্ছেন না, কারণ এ ঘটনায় সে খুবই আঘাত পেয়েছে। আল-বেরিনে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা জিয়াদ আবু লতিফার মতে, ইসরাইলি বাহিনী দ্বারা কমবয়সী ছেলে-মেয়েদের মারধর ও নির্যাতন করার ঘটনা একটি চলমান সমস্যা। লতিফা বলেন, আমি অপ্রাপ্তবয়স্কদের রাইফেলের বাট দিয়ে পেটানোর অনেক ঘটনা মোকাবেলা করেছি, যার ফলে বাচ্চাদের গায়ে কাটাছেঁড়া, রক্তপাত ও মুখের গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।