Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবশেষে পদত্যাগ করলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:৫০ পিএম

ভারতের কংগ্রেসশাসিত পাঞ্জাব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং পদত্যাগ করেছেন। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের পাঁচ মাস আগে আজ শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রাজভবনে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর রাজভবনের বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অমরিন্দর সিং বলেন, শনিবার সকালেই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে তিনি পদত্যাগপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘৫২ বছর ধরে রাজনীতি করছি। সাড়ে ৯ বছর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী থেকেছি। কিন্তু যেভাবে রাজনীতি চলছে, তাতে চূড়ান্ত অপমানিত ও অসম্মানিত বোধ করছি। দলনেত্রীকে সে কথা জানিয়ে বলেছি, এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারছি না।’

পাঞ্জাবে নভজ্যোত সিং সিধুর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে চলমান বিবাদ সম্প্রতি প্রকট হয়। প্রায় একে অপরকে নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেন সিধু ও অমরিন্দর। অবশেষে ‘ক্যাপ্টেন’ অমরিন্দর সিং পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন। মুখ্যমন্ত্রিত্ব খোয়াতে হলো তাকে।

জুলাইয়ে অমরিন্দরের আপত্তি সত্ত্বেও সিধুকে পাঞ্জাব রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি করেন সোনিয়া। শুরু হয় বিরোধ। সিধুর সমর্থক মন্ত্রী-বিধায়করা প্রকাশ্যে অমরিন্দরের পদত্যাগ চান। অন্যদিকে, সৌন্দর্যায়নের নামে ঐতিহাসিক জালিয়ানওয়ালা বাগের সংস্কার নিয়ে মোদি সরকারের সমালোচনা করলেও অমরিন্দর বলেন, ওই উদ্যোগ তার ভাল লেগেছে।

কংগ্রেস সূত্রে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, দলীয় সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে শনিবার ফোনে কথা হয় অমরিন্দর সিংয়ের। তখন তাকে দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানান সোনিয়া। পাল্টা অমরিন্দর সিং দল ছাড়ার হুমকি দেন। অবশ্য রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এ প্রসঙ্গে কিছুই স্পষ্ট করেননি তিনি।

তবে কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনার ইঙ্গিতও দিয়েছেন অমরিন্দর। তিনি বলেছেন, ‘দীর্ঘ ৫২ বছর রাজনীতি করছি। আমার সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলবো। তারপরই রাজনৈতিক ভবিষ্যত স্থির করবো। ভবিষ্যতের রাজনীতি সবসময়ই থাকে। আমাদের সামনে সব বিকল্পই খোলা রয়েছে। সময়ই সব বলে দেবে।’

বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেছেন, ‘আমি সকালে সভানেত্রী সোনিয়াকে ফোন করে বলেছিলাম যে, আমি ইস্তফা দিচ্ছি। গত দুই মাসে তিনবার বিধায়কদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। তারা আমার কাজ ও দায়বদ্ধতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। আমি অপমানিত। তাই ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি।’

এদিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনজনের নাম বিবেচিত হচ্ছে। রাজ্যের সাবেক দুই কংগ্রেস সভাপতি সুনীল জাখর ও প্রতাপ সিং বাজওয়া এবং সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহত সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিয়ন্ত সিংয়ের নাতি রণবীত সিং বিট্টু। সুনীল জাখরের বাবা ছিলেন কংগ্রেস নেতা এবং লোকসভার সাবেক স্পিকার। তাঁর সম্ভাবনা উজ্জ্বল। সুনীল মুখ্যমন্ত্রী হলে পাঞ্জাবের ইতিহাসে এই পদে তিনিই হবেন প্রথম হিন্দু সম্প্রদায়ের। এই রাজ্যে এতকাল ধরে শিখরাই মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এসেছেন।

পাঞ্জাব বিধানসভার মোট ১১৭ আসনের মধ্যে গত ভোটে কংগ্রেস পেয়েছিল ৭৭টি আসন। পরে উপনির্বাচনে জিতে মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৮০। দ্বিতীয় স্থানে ছিল আম আদমি পার্টি (২০)। শিরোমণি আকালি দল জিতেছিল ১৫টি, বিজেপি ৩টি আসনে। ৭৫ বছর বয়সী অমরিন্দর সিংকেই কংগ্রেস বেছে নিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। সূত্র : আনন্দবাজার



 

Show all comments
  • Rahat Mahedi ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:২৯ পিএম says : 0
    এই নিউজটি দেশ অথবা দেশের মানুষের কি উপকারে লেগেছে? এটা ঐ দেশ বা অঞ্চলের ব্যাপার। দয়াকরে এসব অপ্রয়োজনীয় নিউজ পাবলিশ করে সময় নষ্ট করাবেন না। দেশে অনেক ভাঙ্গা রাস্তা আছে এসব নিয়ে লিখালিখি করুন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ