গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
৬২’র শিক্ষা আন্দোলন দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে টার্নিং পয়েন্ট ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। তিনি বলেন, সেই দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হয় না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। শিক্ষা ও ছাত্র আন্দোলনের তাৎপর্যপূর্ণ এ ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরই অজানা ইতিহাসের এ গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের কথা।
আজ (শুক্রবার) শিক্ষা দিবস উপলক্ষে হাইকোর্ট মোড়ে শিক্ষা চত্বরে ১৯৬২’র শিক্ষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব বলেন, দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একটি মানচিত্র, স্বাধীন ভূখণ্ড, একটি লাল-সবুজের পতাকা পেয়েছে জাতি। পেয়েছি একটি শিক্ষা দিবস। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এ দিবসটি এখন আর কেউ স্মরণ করে না। তিনি বলেন, শিক্ষা দিবসের ৫৯ বছর পরও ছাত্রসমাজের সার্বজনীন শিক্ষার যে আকাঙ্ক্ষা, তা আজও পূরণ হয়নি। কিছুটা সংশোধন হলেও সেই ব্রিটিশ-পাকিস্তানি আমলে কেরানি কর্তৃক নির্মিত শিক্ষাব্যবস্থা এখনও বহাল আছে। বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থায় চরম নৈরাজ্যকর অবস্থা বিরাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৬২’র শরীফ শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, পরবর্তী সময়ে ১৯৬৬’র হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী ও ছয় দফার আন্দোলন, ১৯৬৯-এর নূর খান শিক্ষা কমিশন ও গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনায় গভীর অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে এ শিক্ষানীতির প্রতিবাদ ও আন্দোলনগুলো। সেদিন বাংলার ছাত্রসমাজই পালন করেছিল নতুন ইতিহাস নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি এম এ জলিল, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, ঢাকা মহানগর শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর স্বৈরশাসক আইয়ুব খান গঠিত শিক্ষা কমিশনের শিক্ষা নীতি তথা শিক্ষা সংকোচন নীতির প্রতিবাদে তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী হরতাল পালিত হয়। ছাত্রদের ডাকা হরতালে পুলিশের দফায় দফায় লাঠিচার্জ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে শহীদ হন গোলাম মোস্তফা, বাবুল ও ওয়াজিউল্লাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।