Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকার ব্যার্থতার পরিচয় দিচ্ছে : বাংলাদেশ ন্যাপ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০২২, ৭:০২ পিএম

ডেঙ্গুর ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। বুধবার ( ২ নভেম্বর) পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ দাবী জানান।

নেতারা বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। ঢাকাসহ সারাদেশে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ব্যাপক হারে বাড়লেও এডিস মশা নিধনে দৃশ্যমান কিছু পরিলক্ষিত হচ্ছে না। বরং মশা মারার যে ওষুধ ব্যাবহার করা হচ্ছে তা অনেকটাই অকার্যকর। কার্যকর ওষুধ জরুরি ভিত্তিতে আনা হচ্ছে না। নেতৃদ্বয় বলেন, ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তার সরকারের সার্বিক গাফিলতি ও দুর্নীতির ফল। ডেঙ্গু যে বাড়বে, সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতরেরই প্রতিবা্রই পূর্বাভাস দিয়ে থাকলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো তা আমলে নেয় না। আর এই আমলে না নেয়াটা বিশাল দায়িত্বহীনতার পরিচয়। এরপর কীটনাশক ও ওষুধ ক্রয়ে দুর্নীতি ঘটেছে। পরিস্থিতি নাগালের বাইরে যাওয়ার পরই, অনেক প্রাণহানি ও জনবিক্ষোভের পর সরকারের টনক নড়ে।

তারা আরো বলেন, প্রাণঘাতী করোনার সঙ্গে ডেঙ্গুও প্রতিরোধ করতেই হবে। এ ব্যাপারে সরকার কালবিলম্ব না করে এখনই যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে জনজীবন রক্ষা করা যাবে না। তাই ঢাকা সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র ও কাউন্সিলররা কথার ফুলঝুড়ি বাদ দিয়ে এখনই এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন বলে আশা। নেতৃদ্বয় বলেন, যেখানে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই, সেখানে স্বভাবতই কয়েকদিন ধরে পানি জমে থাকে। বিশেষত নির্মাণকাজ চলছে এমন জায়গায় এটি বেশি দেখা যায়। এসব জায়গায় জমে থাকা পানি অপসারণের পাশাপাশি নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটাতে হবে। মশা নিধনের ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে অতীতে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে তা তদন্তপূর্বক বিচার করতে হবে। যাতে কেউ ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম-র্দুর্নীতি করার দুঃসাহস দেখাতে না পারে। মনে রাখতে হবে অন্য যেকোনো সভ্য দেশে এমন পরিস্থিতিতে কর্তব্যে অবহেলা, দুনীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং অযোগ্যতার দায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও মেয়রদের পদত্যাগ করতে হতো।

তারা বলেন, যেহেতু ডেঙ্গুর ব্যাপকতা বেড়েছে, ডেঙ্গু ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে, যেহেতু ডেঙ্গুর প্রকোপ প্রলম্বিত হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যেহেতু আগাম সতর্কতার পরও ডেঙ্গু মোকাবেলার প্রস্তুতি ও সক্ষমতায় ঘাটতি রয়েছে, তাই শুধু ঢাকার দুইটি সিটি কর্পোরেশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওপরে দায়িত্ব ছেড়ে না দিয়ে জাতীয় ভিত্তিতে সমন্বিতভাবে ডেঙ্গু মোকাবেলা করা সময়ের দাবি। ন্যাপ চেয়ারম্যান ও মহাসচিব বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় এখন পর্যন্ত যতটুকু হয়েছে, তা যথেষ্ট নয়, সমন্বিতও নয়। খোদ রাজধানীতেই ডেঙ্গুর চিকিৎসা সেবার অপ্রতুলতা ও হিমশিম অবস্থা চলছে। ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সামর্থে্যর অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঢাকায় এডিস মশার বিস্তার প্রতিরোধে এখনও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং এ ক্ষেত্রে গাফিলতি ও ব্যর্থতা এখনও রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ ন্যাপ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ