নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফ্রান্স ও চেলসির মতো ক্লাবের ফুটবলার অ্যাঙ্গোলো কান্তে। যশ-খ্যাতির কোন কিছুর অভাব নেই তার। ফ্রান্সের হয়ে জিতেছেন বিশ্বকাপ, চেলসির হয়ে পেয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা।
তাই তো তাকে এক নজর দেখার জন্য বা তার সঙ্গে একটি ছবি তোলার জন্য অপেক্ষা করেন ফুটবল সমর্থকরা। কিন্তু এত এত খ্যাতির পরও তার মধ্যে নেই একফোঁটা অহংকার। ফ্রান্সর মুসলিম পরিবারে জন্ম নেয়া এ ফুটবলার একজন নিরেট মাটির মানুষ। তার সতীর্থরা প্রায়ই বলে থাকেন কান্তেকে কেউ চাইলেও অপছন্দ করতে পারবে না।
তিনি যে কতটা সাধাসিধা মানুষ তা আবার উঠে এসেছে গতকাল সারফরাজ আহমেদ নামে এক ব্যক্তির করা টুইট থেকে। সারফরাজ তার টুইটার অ্যাকাউন্টে কান্তের সঙ্গে তোলা একটি ছবি টুইট করেন। সেখানেই তিনি জানান কান্তের অসাধারণ ব্যক্তিত্বের কথা। টুইটে সারফারাজ লিখেন, 'বাজার করতে সুপারশপে গিয়েছিলাম। দেখ কার সঙ্গে দেখা হয়েছে। কান্তে অসাধারণ একজন মানুষ, অসাধারণ ফুটবলার। আমার মতো একজন সাধারণ মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছে।'
এত বড় তারকা ফুটবলার হওয়া স্বত্ত্বেও নিজের প্রয়োজনীয় পন্য নিজেই কিনতে এসেছেন কান্তে। যা সারফরাজের কাছে খুবই অবাক লেগেছে।
২০১৫ সালে লিস্টার সিটিতে যোগ দেন কান্তে। তখন তার একটি কথা শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন তার সতীর্থরা। কান্তে বলেছিলেন বাসা থেকে অনুশীলন মাঠ পর্যন্ত তিনি দৌড়ে আসতে চান। যেখানে অন্যরা আসেন গাড়িতে। যদিও নিজের ফিটনেসের জন্যই কান্তে এটি করতে চেয়েছিলেন। তবে তার সতীর্থরা তাকে বোঝান এটি করা সম্ভব না। ফলে বাধ্য হয়ে ২০ হাজার ইউরোর একটি মিনি কুপার গাড়ি কেনেন তিনি, যেটি আবার ছিল পুরনো। ২০১৮ সালে অ্যাক্সিডেন্ট করলেও গাড়িটি এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন বিশ্বকাপজয়ী এ ফরাসি ফুটবলার। দামী গাড়ী, বাড়ী এগুলোর প্রতি বলতে গেলে কোন জোঁকই নেই কান্তের।
২০১৮ সালে তার বর্তমান ক্লাব চেলসি তাকে প্রতি সপ্তাহে ২ লাখ ৯০ হাজার ইউরোর চুক্তি করে। ক্লাবটি তাকে পরামর্শ দেয় যেন টাকাটি তিনি একটু ঘুরিয়ে নেন, এতে করে ট্যাক্স কম আসবে। কিন্তু কান্তে জানিয়ে দেন কোন প্রকার ছল চাতুরি করবেন না তিনি। ট্যাক্সের টাকা পুরোটাই দিবেন।
২০১৮ সালে ইংল্যান্ড থেকে ট্রেনে করে ফ্রান্সে যাওয়ার কথা ছিল কান্তের। কিন্তু তিনি ট্রেনটি মিস করে ফেলেন। পরে নামাজের সময় হওয়ার পর স্টেশনের পাশে একটি মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন। সেখানে কান্তেকে খুজে পান বদলুল নামের আর্সেনালের এক ভক্ত। কান্তেকে দেখতে পেয়ে তাকে বাসায় আমন্ত্রন জানান। মাটির মানুষ কান্তে সেই সমর্থকের সঙ্গে তার বাসায় চলে যান এবং সেখানে দারুণ কিছু মূহুর্ত কাটান। বিশ্বের অন্যতম নামী ফুটবলার হলেও ভক্তদের দেয়া দাওয়ার প্রায়ই গ্রহণ করে থাকেন তিনি।
শিরোপা জিতে বা সাফল্য পাওয়ার পর হৈ হুল্লোড় করাটা পছন্দ না কান্তের। কয়েকদিন আগে চেলসি যখন সুপার কাপের শিরোপা জয় করে তখন দেখা যায় চেলসির খেলোয়াড়রা নাচানাচি করেছেন। কিন্তু কন্তে তখন নিরবে একপাশে দাঁয়িয়ে পিৎজা খাচ্ছিলেন। খবর দি সান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।