মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি বেড়ে ২ লাখ ৭১ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে। বিপুল পরিমাণ প্রণোদনার কারণে চলতি বছর ইতিহাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজেট ঘাটতির দিকে এগোচ্ছে দেশটি। খবর এপি। মাসভিত্তিক বাজেট প্রতিবেদনে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরের (অক্টোবর-সেপ্টেম্বর) প্রথম ১১ মাসে বাজেট ঘাটতি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৯ শতাংশ কম। ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরে ৩ লাখ কোটি ডলারের বাজেট ঘাটতির পূর্বাভাস দিয়েছে কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস। এ ঘাটতির পরিমাণ ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি রেকর্ড ৩ লাখ ১৩ হাজার কোটি ডলারের চেয়ে কম। গত অর্থবছরের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ বারাক ওবামা প্রশাসনের সময় ২০০৯ সালে ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিগুণেরও বেশি ছিল। সে সময় মার্কিন সরকার ২০০৮ সালে আর্থিক সংকটের পর অতিমন্দা মোকাবেলায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার কোটি ডলার। রাজস্বের এ পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি চিহ্নিত করে। করোনাজনিত মন্দা থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ফলে লাখ লাখ মানুষ কর্মস্থলে ফেরায় ব্যক্তিগত আয় ও করপোরেট মুনাফা বেড়েছে। এ কারণে বেড়েছে রাজস্বের পরিমাণও। এ সময়ে সরকারি ব্যয়ও ৪ শতাংশ কমে ৬ লাখ ২১ হাজার কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ দুই বছরে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পেছনে লাখ কোটি ডলার ব্যয় যে অর্থনীতিকে দীর্ঘমেয়াদি মন্দা থেকে রক্ষা করতে পারে, এটি তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ব্যক্তিগত সহায়তা, বেকারত্ব সুবিধা বাড়ানো ওক্ষুদ্র ব্যবসায় কোটি কোটি ডলারের ক্ষমাযোগ্য ঋণ এখন অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গতি জোগাচ্ছে। গত মাসে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ৬০ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ কম। ২০২০ সালের মার্চে চালু হওয়া বেশ কয়েকটি প্রণোদনা কার্যক্রম বন্ধ করার ফলে এমন পার্থক্য ঘটেছে। অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের অর্থনীতিবিদ ন্যান্সি ফান্ডেন হাউটেন জানান, তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করছেন আগামী অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি ১ লাখ ৪৩ হাজার কোটি ডলারে নেমে আসবে। এটি ২০২০ ও ২০২১ অর্থবছরে দেখা ঘাটতির অর্ধেকেরও কম হবে। তিনি বলেন, করোনাজনিত প্রণোদনা কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় বাজেট ঘাটতি কমে আসবে। বাকি বাজেট ঘাটতি আসবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দুটি অবকাঠামো বিল থেকে। এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।