চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন : আমি যে মসজিদে নামাজ পড়ি, সেখানে সবাই জোরে আমিন বলে। অন্য এলাকার মসজিদে জোরে আমিন বলে না। বিদেশে গির্জায় দেখেছি, পাদ্রির সাথে সবাই জোরে আমিন বলে। খুব কনফিউশনে আছি। কি করব, বুঝিয়ে বলুন।
উত্তর : আপনি যে মসজিদে নামাজ পড়েন, সেখানে সবাই যদি জোরে আমিন বলে তা হলে ইচ্ছা করলে আপনিও জোরে বলতে পারেন, আর নাও বলতে পারেন। যেসব মসজিদে জোরে আমিন বলে না, সেখানে আপনিও জোরে বলবেন না। সবার মতোই আস্তে বলবেন। কেননা, নামাজে আমিন বলা সুন্নত, আস্তে বলা আরেকটি সুন্নত। যারা জোরে বলেন, তারা একটি সুন্নতের ওপর আমল করেন। আর যারা আস্তে বলেন, তারা দুটি সুন্নতের ওপর আমল করেন। এখানে বড় কোনো সমস্যা বা বিরোধ নেই। কেননা, এক সাহাবিকে নবী করিম সা. নিজে নামাজ শিখিয়েছেন। ২০ বার নামাজ শেখাতে গিয়ে তিনি ১৭ বার আস্তে আমিন পড়েছেন, আর তাকে কথাটি কী বলতে হয়, তা বোঝানোর জন্য তিনবার জোরে আমিন বলেছেন। তা থেকে ইসলামি শরিয়াহ বিশেষজ্ঞগণ আস্তে বলাকে বেশি উত্তম মনে করে থাকেন। জোরে বলাও কোনো কোনো ফকিহের মতে সঠিক। তবে গির্জার পাদ্রি ও পূজারিদের ‘আমেন’ বলার সাথে নামাজের ‘আমিন’ কে তুলনা করার কোনো সুযোগ নেই। এটি অন্য ধর্মের একটি নিয়ম। আশা করি আপনার কনফিউশন দূর হবে।
প্রশ্ন : নিজ বাড়ী থেকে ব্যবসার কাজে প্রায় দু’শত কিলোমিটার দূরে যাতায়াত করতে হয়। এমতাবস্থায় মুসাফিরের জন্যে সুন্নত, নফল ইত্যাদি পড়তে হয় কি না, জানতে চাই।
উত্তর : শরীয়ত নির্ধারিত দূরত্বে নিয়মিত যাতায়াত করলেও মানুষ মুসাফির হয়ে থাকে। এ সময় ফরজ নামায ‘কসর’ পড়তে হয়। সুন্নতে মোয়াক্কাদা একান্তভাবেই ঐচ্ছিক পর্যায়ে চলে যায়। যারা সারা বছরই দূরদূরান্তে সফর করেই কাটায়, যেমন: পাইলট, নাবিক, জাহাজ ও বিমানের ক্রু প্রভৃতি দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্যে সারা বছরই মুসাফিরের হুকুম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।