মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময় কিছু মার্কিন নাগরিক এবং অন্যান্যদের সেখানে ফেলে রেখে আসায় সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সমালোচনা করেন সিনেটর মিট রমনি এবং এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ‘নৈতিক দাগ’ বলে অভিহিত করেন তিনি।
মঙ্গলবার সিনেট ফরেন রিলেশন কমিটির শুনানির সময় উটাহ থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান সিনেটর রমনি ব্লিঙ্কেনকে বলেন, ‘আপনি জানতেন যে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর দ্রুত পতনের কারণে এই সব মানুষকে সময়মতো বের করে নেয়ার কোন উপায় নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কেন এমন একটি তারিখ নির্বাচন করা হয়নি যার ফলে প্রকৃতপক্ষে আমাদের লোকজনকে সেখান সরিয়ে নেয়ার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে। যা আমাদের নাগরিকদের, আমাদের গ্রীন কার্ডধারীদের সম্মান করার জন্য আমাদের নৈতিক অঙ্গীকারের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। সেইসাথে যারা বছরের পর বছর আমাদের সাথে কাজ করেছে তাদের জন্যও।’
রমনি আরো বলেন, ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে চুক্তি করাটা ভুল ছিল, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেই প্রত্যাহারের চুক্তি চালিয়ে যেয়ে ভুল করেছেন এবং আমি নিজেই বিপর্যয়কর প্রত্যাহার প্রক্রিয়া দেখে ভীত ছিলাম।’
শুনানিতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। শুনানিতে বর্তমান বিরোধীদলে থাকা দুইজন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। প্যানেলের শীর্ষ রিপাবলিকান প্রতিনিধি মাইকেল ম্যাককল বলেন, আমেরিকার মানুষ সন্ত্রাসীদের কাছে হারতে পছন্দ করে না। অথচ আফগানিস্তানে ঠিক এটাই ঘটেছে।
প্রায় পাঁচ ঘণ্টার শুনানিকালে ব্লিঙ্কেন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পক্ষে যুক্তি দেখান। তিনি বলেন, সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে তালেবানের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। এ কারণে বাইডেন প্রশাসনের পক্ষে পুনরায় আলোচনা করার সুযোগ ছিল না। কারণ, চুক্তির হেরফের হলে তালেবান আফগানিস্তানে অবস্থানরত আমেরিকানদের ফের হত্যা শুরুর হুমকি দিয়েছিল। তিনি বলেন, আমেরিকান ও ঝুঁকিতে থাকা আফগানদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আরও কিছু করা উচিত ছিল। কিন্তু পরিকল্পনার অভাব ছিল। এর জন্য তিনি পূর্ববর্তী প্রশাসনকে দায়ী করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে সেনা প্রত্যাহারের একটি সময়সীমা পাই। কিন্তু তা বাস্তবায়নের জন্য কোনো পরিকল্পনা পাইনি। এ সময় ব্লিংকেন বলেন, আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর অবস্থান দীর্ঘায়িত করলে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী বা সরকার আরও বেশি স্থিতিশীল ও আত্মনির্ভর হয়ে উঠত—এমন কোনো প্রমাণ নেই। সূত্র: ডিসক্রিট নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।