নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক স্টেডিয়ামের সেই ম্যাচ অনেকের চোখেই চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফাইনাল। ২০০৫ সালের সেই ফাইনালে প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল এসি মিলান। কিন্তু লিভারপুল হাল ছাড়েনি। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ‘কামব্যাক’-এর নজির গড়ে দ্বিতীয়ার্ধে ৩ গোল শোধ করেছিল অলরেডরা। পরে টাইব্রেকারে জিতে নেয় শিরোপাও!
ইস্তাম্বুলে সেই ফাইনালে হারের প্রতিশোধ গ্রীসে নিয়েছে এসি মিলান। ২০০৭ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে অল রেডদের হারিয়ে সপ্তমবার ইউরোপসেরা হয় ইতালির ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। কিন্তু, তারপরও ইস্তাম্বল ফাইনালে শিরোপার এতো কাছে গিয়েও এমন ভুতুড়ে হার কোন কালেই ভুলতে পারেনি রোজানারিওরা। আজ সুযোগ এসেছে সেই হারের ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দেওয়ার।
১৬ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো আবারও মাঠে নামছে দুদল। তবে এবার আর ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের ফাইনালে নয়, লিভারপুলের ঘরের মাঠেই চ্যাম্পিয়নস লিগের ‘মৃত্যুকূপ’ গ্রুপ বি’ প্রথম ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে ইউরোপীয় ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী দুদল। মার্সেসাইডের অ্যানফিল্ড স্টেডিয়ামে ইউরোপের অন্যতম সফল দুদলের লড়াই অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ সময় রাত একটায়।
চলতি মৌসুমের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে লিভারপুলের। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চার ম্যাচ খেলে এখনও কোন ম্যাচ হারেনি ইয়ুর্গন ক্লপের দল। ৪ ম্যাচে ৩ জয় ও ১ ড্রয়ে ৯ পয়েন্টে শীর্ষে থাকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পিছু নিচ্ছে অলরেডরা। সর্বশেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষের মাঠে মার্সেলো বিয়েলসার লিডস ইউনাইটেডকে উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের ঝালিয়েও নিয়েছে।
কম যায় না এসি মিলানও। ঠিক গেল মৌসুমের মতো এবারও ইতালিয়ান সিরি’আর শুরুতে উড়ছে স্টেফানো পিওলের দল। তিন ম্যাচে শতভাগ জয়ে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে রোমার চেয়ে পিছিয়ে দুইয়ে আছে দলটি। সর্বশেষ ম্যাচে শক্তিশালী ল্যাজিওর বিপক্ষে সহজ জয়, অ্যানফিল্ডে মাঠে নামার আগে বাড়তি শক্তি যোগাবে ইউরোপের দ্বিতীয় সফল দলটিকে। যদিও, সর্বশেষ ম্যাচে জয়ের নায়ক দলের আক্রমণ ভাগের অভিজ্ঞ তারকা জ্বালাতান ইব্রিহিমোভিচের অনুপস্থিতি কিছুটা হলেও ঠের পাবে সফরকারীরা।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে দুদল কেবল দুবারই একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে, দুটোই ফাইনাল। দু দলই একটি করে জয় পেয়েছে। ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসরে প্রথম ৭ ম্যাচে ইতালিয়ান ক্লাবগুলোর বিপক্ষে ৫টিরই জয় পাওয়ার পর, সর্বশেষ দু ম্যাচেই জয়হীন লিভারপুল।
তবে, সাম্প্রতিক সময়ের উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের পারফরম্যান্স অনুপ্রেরণা যোগাবে ইয়ুর্গন ক্লপের দলকই। ২০১৭-১৮ মৌসুম পর মহাদেশীয় লড়াইয়ে ২৫ ম্যাচ জিতেছে লিভারপুল। এই সময়ে তাদের চেয়ে কেবল বায়ার্ন মিউনিখ (৩১) ও ম্যানচেস্টার সিটিই বেশি ম্যাচ জিততে পেরেছে। তাছাড়া, ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ইংলিশ ক্লাবগুলোর বিপক্ষে মিলানের সর্বশেষ ১৩ ম্যাচে মাত্র একটি জয়ও কিছুটা এগিয়ে রাখবে অলরেডদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।