নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
হিজাব পরলে ফ্রান্সের কোন নারী ফুটবলার পেশাদার ফুটবল খেলতে পারেন না। ফ্রান্সে পাবলিক প্লেসে হিজাব বা বোরকা পরা নিষিদ্ধ। কিন্তু খেলাধুলার ক্ষেত্রেও এটি চাপিয়ে রেখেছে তারা। আর ফ্রান্সের ফুটবল ফেডারশনের এমন হঠকারী সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক বলে মনে করেন অনেক নারী ফুটবলার। এ বিষয়ে পরিবর্তন চান তারা। এজন্য বেশ কয়েকজন লড়াইও করে যাচ্ছেন। খবর আল জাজিরা।
তাদেরই একজন কার্থুম দেম্বেলে। তিনি পারিসিয়ান শহরের ১৯ বছর বয়সী একজন নারী ফুটবলার। তিনি ছয় বছর বয়স থেকে ফুটবল খেলছেন। ছোটবেলায় বড় ভাইদের সঙ্গে বাড়ির আঙ্গিনায় ফুটবলে হাতেখড়ি হয় তার।
এই পারিসিয়ান শহর থেকেই ফ্রান্সের জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন পল পগবা, কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো খেলোয়াড়রা। তাই কার্থুম দেম্বেলেও স্বপ্ন দেখেছেন তিনিও সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলবেন, বিশ্ব দরবার ফ্রান্সের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কিন্তু এখন তার এ আশা ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কারণ ধর্মীয় কারণে তিনি হিজাব পরেন, কিন্তু ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন হিজাব পরে তাকে খেলতে দেয় না।
হিজাব পরে ফুটবল খেলায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ফিফাও। কিন্তু ২০১৪ সালে নিষেধাজ্ঞাটি তুলে নেয় তারা। কিন্তু ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন এখনো এটি উঠায়নি।
২০২৪ সালে অলিম্পিক আয়োজন করবে ফ্রান্সের প্যারিস শহর। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি নারীদের
হিজাব পরে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছে। ফলে ফ্রান্সে বিদেশী অ্যাথলেটরা ২০২৪ সালে এসে হিজাব পরে খেলবেন। তাই প্রশ্ন উঠছে ফ্রান্স তাহলে কেন নিজ দেশের খেলোয়াড়দের নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।
কার্থুম দেম্বেলে ও কয়েকজন নারী অ্যাথলেট এ বিষয়টির প্রতিবাদ করছে। তারা কয়েকদিন আগে ফ্রান্স ফুটবলের সদর দপ্তরে গিয়ে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে কোন উত্তর দেয়নি ফরাসি ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
দেম্বেলে বলেছেন বিষয়টি এখন এমন দাঁড়িয়েছে, তারা আমাদের প্রতিভার দিকে না তাকিয়ে মুখের দিকে তাকাচ্ছে। যা কোনভাবেই উচিত নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।