মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য প্রস্তুত না হলেও যুক্তরাষ্ট্র তালেবানদের সাথে সম্পর্ক গড়বে। বৃহস্পতিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এই তথ্য জানিয়ে বলেন, পাকিস্তান আফগানিস্তান নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ ভাগ করে নিয়েছে এবং তারা গত ২০ বছরের অর্জন রক্ষা করতে চায়।
বাইডেন প্রশাসন কীভাবে তালেবানদের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করছে তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রাইস বলেন, ‘স্বীকৃতি, বৈধতা এবং ব্যবহারিক সম্পৃক্ততার মতো বিস্তৃত বিষয়গুলোর মধ্যে একটি পার্থক্য রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আপনি আমাদের কাছ থেকে ও অন্যান্য সরকারের কাছ থেকে শুনেছেন যে, যখন আমাদের জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে তালেবানকে সম্পৃক্ত করা যখন প্রয়োজন হবে, তখন আমরা তা করব।’ তিনি আরও বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আমরা অন্যান্য দেশ থেকেও একই রকম কথা শুনেছি’।
আফগানিস্তানে পাকিস্তানের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রাইস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির যৌথ আয়োজনে সাম্প্রতিক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ইসলামাবাদ আফগানিস্তানের বিষয়ে তার অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থিত ছিল এবং আমরা অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দেশ থেকে যা শুনেছি পাকিস্তানিদের কাছ থেকে আমরা একই রকম অনুভূতি শুনেছি। আমাদের পাকিস্তানি অংশীদারদের সহ ব্যাপক চুক্তি ছিল যে, গত ২০ বছরের অর্জন নষ্ট করা যাবে না।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিংকেন এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস বুধবার আফগানিস্তান বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের সহ-আয়োজক ছিলেন। পাকিস্তান এবং ভারত উভয়ই ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ন্যাটো এবং জাতিসংঘের মতো আরও কয়েক ডজন দেশ এবং আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সাথে বৈঠকে অংশ নিয়েছিল। সেক্রেটারি ব্লিংকেন তার বক্তৃতায় একটি সম্ভাব্য মানবিক সঙ্কট প্রশমিত করতে, সন্ত্রাস দমন, বিদেশী ও আফগান নাগরিকদের জন্য নিরাপদ প্রবেশ এবং মৌলিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনে তালেবানকে জবাবদিহি করার জন্য ঐক্যের আহ্বান জানান।
সেক্রেটারি ব্লিনকেন বলেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ‘আফগান জনগণ, বিশেষ করে নারী ও মেয়েদের অধিকারকে সমর্থন করার জন্য এবং আফগানিস্তান সন্ত্রাসবাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল না হয়ে উঠতে অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক সরঞ্জাম ব্যবহার অব্যাহত রাখবে।’ প্রাইস বলেন, অংশগ্রহণকারীরা, বিশেষ করে আফগানিস্তানের প্রতিবেশীরা, ‘আফগানিস্তানে মানবিক অবস্থার অবনতি ঠেকাতে আমরা যা করতে পারি’ তা করতে সম্মত হয়েছি। এবং এটি বিশেষত আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী দেশগুলো তীব্রভাবে ধারণ ও অনুভব করে যে, এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য মানবিক প্রভাবগুলো তীব্র হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘এজন্যই আমেরিকা আফগানিস্তান সরকারকে তার দ্বিপক্ষীয় সহায়তা পর্যালোচনা করছে এবং আফগানিস্তানের মানুষকে মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে।’
এর আগে প্রাইস বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের মানুষকে শত শত মিলিয়ন ডলারের মানবিক সহায়তা দিয়েছে। জুন মাসে, যুক্তরাষ্ট্র আফগানদের জন্য ২৫ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ প্রদান করেছিল, যা জুলাইয়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ, ৫০ কোটি ডলার হয়েছে। এর কিছু আফগানিস্তানে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি একটি স্থায়ী প্রতিশ্রুতি, যা কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই নয়, এই অঞ্চলের দেশগুলো এবং এর বাইরে দেশগুলো দ্বারাও গৃহীত হয়েছে।’ সূত্র: ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।