মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্ববাজারে চীন ও ভিয়েতনামকে পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধিতে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) বাজারটিতে বাংলাদেশ ৩৭০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা দেশীয় মুদ্রায় ৩১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৮ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে চীন ও ভিয়েতনাম রপ্তানি করেছে যথাক্রমে ৯১৩ ও ৮০৭ কোটি ডলারের পোশাক। এতে চীনের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আর ভিয়েতনামের রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
গত বছরের মার্চে দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর কয়েক দফা লকডাউনে মোট ৬৫ দিন পোশাক কারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকে। এ সুযোগে ভিয়েতনাম পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে যায়। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) পর্যালোচনা প্রতিবেদনে ভিয়েতনামের কাছে দ্বিতীয় প্রধান পোশাক রপ্তানিকারক দেশের মর্যাদা হারায় বাংলাদেশ।
২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে ১০০ কোটি ডলারের পোশাক বেশি রপ্তানি করে ভিয়েতনাম। ওই বছর বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৮০০ কোটি ডলার। ভিয়েতনামের এ পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৯০০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং ভিয়েতনামের ট্রেড প্রমোশন কাউন্সিলের (ভিয়েট্রেড) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ এক হাজার ৮৮০ কোটি ডলার। একই সময়ে ভিয়েতনামের রপ্তানির মোট পরিমাণ ছিল এক হাজার ৬৮৬ কোটি ডলার।
তবে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের তুলনায় পরিমাণে বেশি রপ্তানি হলেও এখনই তৈরি পোশাকের দ্বিতীয় প্রধান রপ্তানিকারক দেশ বলা যাচ্ছে না বাংলাদেশকে। ডব্লিউটিও সদস্য সব দেশের বাণিজ্য পর্যালোচনায় বিভিন্ন দেশের বছরওয়ারি অবস্থানের তথ্য প্রকাশ করে থাকে। ওই হিসাব থেকেই বোঝা যাবে বাংলাদেশের অবস্থান।
বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনামের রপ্তানি উন্নয়ন পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বছরের শুরুতেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। জানুয়ারিতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৮৬ কোটি ডলার। ভিয়েতনামের এ পরিমাণ ছিল ২৬৬ কোটি ডলার। পরের মাসে ব্যবধান আরও বাড়ে।
ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের ২৬৩ কোটি ডলারের বিপরীতে ভিয়েতনামের এ পরিমাণ ছিল ১১৪ কোটি ডলার। অর্থাৎ মাসটিতে ভিয়েতনামের রপ্তানি বাংলাদেশের অর্ধেক। মার্চে অবশ্য ভিয়েতনাম এগিয়ে যায় সামান্য ব্যবধানে। এপ্রিলে আবারও ভিয়েতনামের দ্বিগুণ দাঁড়ায় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি। সর্বশেষ জুলাই পর্যন্ত সাত মাসের পরিসংখ্যানে মোট রপ্তানিতে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বাংলাদেশি পোশাকের বড় বাজার। তবে ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বাজারটিতে রপ্তানি কমে যায়। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে ২০১৯ সালে অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে। ইতিমধ্যে কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নেও ব্যাপক অগ্রগতি হয় বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ৫৯৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে। গত বছরও শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল। পরে অবশ্য করোনার থাবায় রপ্তানি নিম্নমুখী হতে থাকে। বছর শেষে ৫২২ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়।
করোনার মধ্যেও চলতি বছর পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বাজার হিস্যাও কিছুটা বেড়েছে। গত বছর বাংলাদেশের বাজার হিস্যা ছিল ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। বর্তমানে সেটি বেড়ে ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ হয়েছে। যদিও ভিয়েতনামের বাজার হিস্যা ১৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর চীনের ক্ষেত্রে সেটি ২৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।