পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আয়কর আদায় প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। বরিশাল অঞ্চলে আয়কর মেলা থেকে চলতি বছরে কর আদায় হয়েছে ৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকার মত। যা গত বছর থেকে ১ কোটি ৬২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা বেশী। কর কর্তৃপক্ষ মনে করছেন আয়কর নিয়ে জনমনে ভীতি ক্রমে দূরীভ‚ত হচ্ছে। ফলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে কর বিবরণী জমা দেয়ার প্রবণতাও ক্রমে বাড়ছে বলে জানা গেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে চলতি বছর বরিশাল কর অঞ্চলে কর মেলাগুলোতে প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ নানা ধরনের সেবা গ্রহণ করেছেন। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৩৩ হাজার বেশী। আয় ও সম্পদ বিবরণী জমা দেন প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। যা গত বছর ছিল ১১ হাজার। নতুন ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর-টিআইএন গ্রহণ করেছেন ১ হাজার ১৬৬ জন। অপরদিকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কর আদায় হার প্রতি বছরই আশাতীত ভাবেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত অর্থ বছরে ৪৩৫ কোটি টাকা কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে বরিশাল কর অঞ্চল। চলতি অর্থ বছরে এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১১ কোটি টাকা। সে লক্ষ্যে বরিশাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কাজ করছে বলে জানা গেছে। ২০০১-০২ অর্থ বছরে বরিশাল কর অঞ্চলের যাত্রা শুরু হয় মাত্র ২৩ কোটি টাকা আয়কর আদায়ের মাধ্যমে। বিগত ১৫ বছরে এ অঞ্চলের ৬টি জেলায় আয়কর আদায় ২৫৫ গুনেরও বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি অর্থ বছরেও বরিশাল কর অঞ্চলের ২৩টি সার্কেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আয়কর আদায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিরবিচ্ছন্নভাবে কাজ করছে বলে এনবিআআর-এর দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয়েছে।
তবে বরিশাল কর অঞ্চলে ২৩টি সার্কেল ও ৪টি রেঞ্জে মঞ্জুরীকৃত কর্মকর্তার অর্ধেক পদই শূন্য থাকছে বছরের পর বছর। ফলে কর আদায়সহ সার্বিক কার্যক্রমই ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া নিজস্ব ভবন না থাকায় ভাড়া বাড়িতেই চলছে বরিশাল কর অঞ্চলের বেশীরভাগ সার্কেল অফিসে কাজ। শুধুমাত্র বরিশাল মহানগরীতেই কর বিভাগের বাড়ী ভাড়া গুনতে হচ্ছে প্রতিমাসে প্রায় সোয়া ২ লাখ টাকা। বরিশাল কর অঞ্চলের একটি বহুতল ভবন নির্মাণের প্রকল্প-প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদনের পরে এখন গণপূর্ত অধিদপ্তরের স্থাপত্য পরিদপ্তরে নকশা প্রনয়নের লক্ষ্যে পড়ে আছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করলেও প্রকল্পটি এখনো আলোর মুখ দেখেনি।
অপরদিকে করদাতাদের সামাজিক নিরাপত্তাসহ সরকারি প্রশাসনসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে যেকোন ধরনের হয়রানী থেকে রক্ষায় সরকারি যথাযথ ভ‚মিকারও দাবি জানান। তবে এনবিআর থেকে আয়কর দাতাদের ট্যাক্স কার্ড প্রদানের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন বলে জানান হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।