বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ক্লিনিকের মালিকানা নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জেরে দুই অংশীদারকে সরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ক্লিনিকের অর্ধেক অংশীদার ও নার্স সাদ্দাম হোসেন যে ঘৃণ্য পন্থা অবলম্বন করেছে পুলিশ তাকে পিশাচ বলে উল্লেখ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘাতক সাদ্দাম গাবতলী উপজেলার রাশ্বেরপুর উপজেলার জিন্নাহ মিয়ার ছেলে।
৯ মাস আগে সাদ্দাম ও অপর চারজন মিলে বগুড়া সদরের পীরগাছা বাজারে সালমা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক নামে নামের একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করায়। ওই প্রতিষ্ঠানের অর্ধেক শেয়ার সাদ্দামের একার এবং সাদ্দামের হাতে পৈশাচিক কায়দায় নিহত শাহিন আলম (২৪) ও সেলিম হোসেন (২৭) হোসেনের পরিবারের ৪ জনের। ক্লিনিকের ম্যানেজারের দায়িত্ব ছিল ছিল সেলিম হোসেনের।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সেলিম অসুস্থ্য বোধ করলে সাদ্দাম তার প্রেশার মেপে বলেন, উচ্চ রক্তচাপ মেডিকেলে ভর্তি করতে হবে। সাদ্দামের কথা মত সেলিমকে শজিমেকে ভর্তি করা হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে স্যালাইন দিয়ে বেডে রাখা হয়। ১০ মিনিট পর সাদ্দাম সেখানে উপস্থিত হয়ে স্যালাইনের ক্যানুলা ব্যবহার করে একটি ইনজেকশন পুশ করে সে । ঘটনা দেখে সেলিমের ভাই সাদ্দামকে চার্জ করে বলে কিসের ইনজেকশন পুশ করলা, জবাবে সাদ্দাম বলে গ্যাসের ইনজেকশন।
তবে এই ইনজেকশন পুশের ১০ মিনিটের মধ্যে সেলিম নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে সেলিমের স্বজনরা সাদ্দামকে আটক করে তার পকেটে চেতনানাশক ইনজেকশনের এ্যাম্পুল পায়। এরপর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই সে স্বীকার করে সেলিমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার কথা। সে আরও জানায় ক্লিনিকের অপর অংশীদার এবং সেলিমের ছোটভাই শাহীন আলমকেও সে সালমা ক্লিনিকেই কৌশলে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে হত্যা করেছে।
হত্যার কারণ হিসেবে সে পুলিশকে জানিয়েছে, ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা রোগী ভর্তির কাজ সে একাই করলেও বাকি অংশীদাররা শুধু বসে বসে টাকার ভাগ পাবে এটা তার সহ্য হচ্ছিলনা। অন্যদিকে সেলিম ম্যানেজার হিসেবে সিনসিয়ার হওয়ায় আয় ব্যায়ের হিসাব নিয়েও নয় ছয় করা সম্ভব হচ্ছিলনা বিধায় সে কৌশলে পথেরে কাঁটা সরিয়ে দিতেই হত্যার এই পৈশাচিক পথ বেছে নিয়েছে ।
ঘাতকের বয়ানে পুলিশও স্তম্ভিত। বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গ্রেপ্তারকৃত সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বড় ভাই আব্দুস সামাদ। নিয়মানুযায়ী ঘাতক সাদ্দামকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের করা হবে। আব্দুস সামাদ জানান, সেলিম ও শাহীন গাবতলীর আটবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের পুত্র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।