নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০১৮ সালে দল যখন বিশ্বকাপ জিতেছিল, অ্যান্টোয়ান গ্রিজমান ছিলেন গোল্ডেন বল জেতার দৌড়ে। সেই গ্রিজমান এক বছর পর যোগ দিলেন বার্সেলোনায়। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ফর্মটাও যেন রেখে এসেছিলেন ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয়।
গোল-অ্যাসিস্ট করছিলেন বটে, কিন্তু তার সংখ্যা, কিংবা পারফর্ম্যান্স কোনোটাই গ্রিজমানসুলভ ছিল না। ছাপটা জাতীয় দলেও পড়ছিল বেশ। সেই গ্রিজমান বার্সা ছাড়লেন সপ্তাহখানেক আগে। ছাড়তেই যেন পুরনো রূপে ফিরলেন তিনি। জোড়া গোল করলেন, তাতে দলও জিতল পাঁচ ম্যাচ পর।
ফরাসিদের কাছে এই জয়ের মাহাত্ম্য একটু বেশিই হওয়ার কথা। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের তকমা লেগে আছে গায়ে। তার ওপর দলে আছেন সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় কিলিয়ান এমবাপে, অ্যান্টোয়ান গ্রিজমান, এনগোলো কান্তেরা; কারিম বেনজেমাও ফিরেছিলেন দীর্ঘ নির্বাসন শেষে। সেই দলটাই কিনা জিততে ভুলে গিয়েছিল! অবশেষে দলটিকে সে অবস্থা থেকে বাঁচালেন অ্যান্টোয়ান গ্রিজমান।
গেল ইউরোয় ফেভারিট হিসেবেই গিয়েছিল ফ্রান্স। প্রথম ম্যাচে জার্মানিকে হারিয়ে শুরুটাও দুর্দান্ত হয়েছিল তাদের। কিন্তু এরপরই যেন ছন্দপতন। হাঙ্গেরি, পর্তুগালের বিপক্ষে ড্র। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে টাইব্রেকারে বিদায়। এরপর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বসনিয়া হার্জেগোভিনাকেও হারাতে পারেনি দলটি। পরের ম্যাচে ইউক্রেনের বিপক্ষেও একই দশা হলো দলের। তাতে টানা ৫ ম্যাচ জয়শূন্য থাকে দিদিয়ের দেশমের দল।
তবে মঙ্গলবার রাতে নিজেদের মাঠে ফ্রান্সের পারফর্ম্যান্সে মনেই হয়নি এমন দুর্দশা চলছে তাদের। শুরু থেকেই আক্রমণের পর আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত রাখছিল ফিনিস রক্ষণভাগকে। ২৫ মিনিটে এক চেষ্টায় এগিয়ে যায় ল্য ব্লুজরা।
কারিম বেনজেমা বক্সে স্কয়ার করেছিলেন বলটা। দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গোলে তাতেই গোল করে বসেন গ্রিজমান। এর আগে পরে বেনজেমার দুটো শট ঠেকিয়ে সফরকারীদের আরও পিছিয়ে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করেন ফিনিস গোলরক্ষক। ফলে বিরতিতে এক গোলে এগিয়ে থেকেই যেতে হয় ফরাসিদের।
তবে দ্বিতীয় গোলের অপেক্ষা ফুরিয়েছে খুব দ্রুতই। লিও দুঁবোয়ার বাড়ানো বলে দারুণ এক ফিনিশিংয়ে দলকে দুই গোলে এগিয়ে দেন সদ্য অ্যাটলেটিকোয় পাড়ি জমানো গ্রিজমান। সেই ব্যবধানেই এরপর ম্যাচটা জেতে ফ্রান্স।
এদিন দারুণ এক কীর্তিও গড়েছেন তিনি। ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে জোড়া গোল করে জাতীয় দলের হয়ে ৯৮ ম্যাচে গ্রিজমানের গোল হলো ৪১টি। ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এখন মিশেল প্লাতিনির সঙ্গে যৌথভাবে তিন নম্বরে চলে এসেছেন তিনি।
এই জয়ের পর ৬ ম্যাচে ৩টি করে জয় ও ড্রয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষেই আছে ফ্রান্স। ৫ পয়েন্ট করে নিয়ে ইউক্রেন তিনে, ফিনল্যান্ড চারে আছে। পরের দুটি স্থানে থাকা বসনিয়া ও কাজাখস্তানের সমান ৩ পয়েন্ট করে।
ইউরোপিয়ান বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দিনের আরেক ম্যাচে বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড মেমফিস ডিপাই করে বসেছেন হ্যাটট্রিক। তার কীর্তিতে তুরস্ককে ৬-১ গোলে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।