Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পটুয়াখালীতে বিপদসীমার ৩৯ সে:মি: উপরে পানি, ৩০ টি গ্রাম প্লাবিত

লঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল, নিরাপদ আশ্রয়ে সহস্রাধিক মাছধরা ট্রলার

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৭:৩৭ পিএম

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও অমবস্যার প্রভাবে পটুয়াখালী জেলার নদ-নদীর পানির পানি বৃদ্ধি পেয়ে পটুয়াখালী পৌর শহর সহ বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী উপজেলা কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী, গলাচিপার কমপেক্ষ ৩০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়াও বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় হাজার হাজার মাছ ধরা ট্রলার কলাপাড়ার আলীপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দরে আশ্রয় নিয়েছে। আজ দুপুর থেকে জোয়ারের পানিপটুয়াখালী পৌর শহরের নদী তীরবর্তী এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে শহরের নিউ মার্কেট, পুরান বাজার, নবাবপাড়া, সেন্টার পাড়া, মহিলা কলেজ রোড, জুবিলী স্কুল সড়ক, ন্যাশনাল ওয়েল মিল সড়ক, রুপালী সিনেমা হল সংলগ্ন সড়ক দিয়ে প্রবেশ করে জনজীবন ভোগান্তী সৃষ্টি করে।

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক জানান, কলাপাড়ার দেবপুর, লালুয়ার বিধ্বস্ত বেড়ীবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ৭-৮টি গ্রামে পানি প্রবেশ করে। লঘু চাপ ও অমবস্যার প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিধ্বস্ত বেড়ীবাঁধ দিয়ে জোয়ারের সময় পানি এলাকায় প্রবেশ করে, ভাটায় আবার নেমে যায়।

এদিকে বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী রাঙ্গাবালীতে ১৫-২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রাঙ্গাবালী ইউনিয়নে বেড়িবাঁধের বাহিরে চর কাসেম, খালগোরা, চরযমুনা, পূর্ব বাহেরচর, চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা ও দক্ষিণ চরমোন্তাজ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ দিয়ে চরআন্ডা, নয়াচর, দক্ষিণ চরমোন্তাজ, উত্তর চরমোন্তাজ, চরবেষ্টিন, মোল্লা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের বেড়িবাঁধহীন এলাকা চরনজির ও কাউখালী চর তলিয়ে গেছে। নদী ভাঙন কবলিত চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ না থাকায় মরাজাঙ্গী, চিনাবুনিয়া, বিবির হাওলা, গোলবুনিয়া, চরলতা প্লাবিত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের একেবারে নিকটবর্তী চরমোন্তাজ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের শহীদুল শিকদারের দোকানের নিকট থেকে রশিদ প্যাদার দোকান পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার বিধ্বস্ত বেড়ীবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্লাবিত হয়ে ৫ শতাধিক ঘরবাড়ির প্রায় ৪ হাজার লোক জোয়ারের সময় পানিবন্দী হয়ে পড়ে এছাড়াও তলিয়ে গেছে অধিকাংশ মাছের ঘের ও পুকুর বলে জানান ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো:আলমগীর।

এদিকে গলাচিপা উপজেলার লঞ্চঘাট এলাকা, চরকারফার্মা, চরকাজল, চরবিশ্বাসের বিধ্বস্ত বেড়ীবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে কমপক্ষে ১০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়াও মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলীসুবিখালীর দোকলাখালী বিধ্বস্ত বেড়ীবাধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এ ছাড়া চান্দখালী গ্রামের ৬০ মিটার বেড়ীবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম সালেহী জানিয়েছেন, আজ জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৯ সে: মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পটুয়াখালী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ