প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
মাদকের মামলায় প্রায় এক মাস কারাগারে ছিলেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। গত ১ সেপ্টেম্বর সকালে জামিনে কারামুক্ত হয়ে বাসায় ফিরেন তিনি। কারামুক্তির পর পরীমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দুই বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর ‘এত সাহস কার’ গানটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেন-নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর নচিকেতা বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে পরীমনিকে আমার ভালো লাগে। ভীষণ সাহসী। যেটা বলা উচিত সেটা সবার সামনে বলার ক্ষমতা রাখেন। তার দেশের পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। যা খুব সহজ নয়। যা করছেন বেশ করছেন।’
নচিকেতা আরো বলেছেন, আমি জানি পরীমনি আমার গান শোনেন। পছন্দও করেন। আমি ওর অনুপ্রেরণা জেনে ভালো লাগছে। সবার বোঝা উচিত, অভিনেত্রীরও ‘না’ বলার অধিকার আছে। সেই ‘না’ উচ্চারণ করেই তিনি আজ এত বিপাকে। এটা ওর দোষ নয়। সমাজের দোষ। একই সঙ্গে তিনি দুষেছেন গণমাধ্যমকেও।
নচিকেতার অভিযোগ, ‘সমাজের মতোই এক চক্ষু সংবাদমাধ্যমও। কেচ্ছার গন্ধ পেয়ে নড়ে বসেছে। অভিনেত্রীর হয়ে ক’জন মুখ খুলছে? নচিকেতার আরও আক্ষেপ, সমাজের এই ধারা সব জায়গাতেই সমান। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের ছবিও এক।’
পরীমনিকে নচিকেতা তার খোলা বার্তায় আরও জানান, ‘আপনাকে পূর্ণ সমর্থন জানাই। সব সময় পাশে আছি।’
সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে পরীমনি জানান, তার দুর্বিসহ দিনগুলোর কথা। মাদক মামলায় ২৭ দিনের কারাবাসে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত তিনি। তবুও পরীমনি লড়ছেন। তার সেই লড়াইয়ের নেপথ্য শক্তি, দাদু শামসুল হক গাজির লেখা একটি চিঠি এবং নচিকেতার গান। যে গানে শিল্পী বলেছেন, ‘তোমার মন খারাপের কারণটা কে, এত সাহস কার?.... তাকে আকাশ থেকে এই মাটিতে নামানো দরকার।’
এদিকে সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে পরীমনি লিখেছেন, দেশমাতা, আমাকে কি একটু নিরাপত্তা দিতে পারেন! রাস্তায় মানুষগুলোও এতো অনিরাপদ না। একবার একটু দেখেন না আমার দিকে, কি করে বেঁচে আছি।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে তার বাসা থেকে মাদক এলএসডি, মদ ও আইস জব্দ করা হয় বলে দাবি করে র্যাব। এরপর পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়। কয়েক দফা রিমান্ডেও নেওয়া হয় তাকে। রিমান্ড-জেল শেষে গত ৩১ আগস্ট ৫০ হাজার টাকা মুচলেকা ও তিন বিবেচনায় পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।