Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন বিড়ম্বনায় বাইডেন প্রশাসন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:২২ এএম

আফগানিস্তানে যে সমস্ত নাগরিক ২০ বছরের যুদ্ধে আমেরিকার সাথে কাজ করেছেন, তাদের জন্য স্পেশাল ইমিগ্র্যান্ট ভিসা-র (এসআইভি) ব্যবস্থা করেছিল ওয়াশিংটন। কিন্তু বিমানবন্দরে হামলার আশঙ্কার প্রেক্ষিতে তাদের সবাইকে বাড়িতেই অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। বলা হয়, পরিস্থিতি বুঝে তাদের বিমানবন্দরে আনা হবে। কিন্তু ৩১ অগস্ট পেরিয়ে গেলেও তাদের কেউই আমেরিকার ফোন পাননি।

গত ১৫ আগস্ট কাবুলের পতনের পর থেকে ৩১ আগস্ট। প্রায় এক লাখ ২৪ হাজার মানুষকে কাবুল বিমানবন্দর থেকে উড়িয়ে নিয়ে গেছে আমেরিকা। উদ্ধার কাজ শেষ হওয়ার পর প্রকাশ্যে এসেছে আরো একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। তা হলো, যত মানুষকে আমেরিকার উদ্ধারকারী বিমান সরিয়ে নিয়ে গেছে, তাদের বেশির ভাগেরই নাম-ধাম জানা নেই বাইডেন প্রশাসনের!


উদ্ধারকাজ চলাকালীন আমেরিকা বারবার জানিয়েছিল, বিগত দু’দশকে তাদের সাথে কাজ করেছেন এমন আফগানদের নিরাপদে সরানোই তাদের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার পর জানা যাচ্ছে, বেশির ভাগ আফগান নাগরিক সম্বন্ধে পর্যাপ্ত তথ্য নেই ওয়াশিংটনের হাতে।

এমনটা হলো কেন? কাবুলে ওই সময় উদ্ধারকাজ দেখভাল করা আমেরিকার কর্মকর্তাদের একটি অংশ জানাচ্ছেন, উদ্ধার করা মানুষের মধ্যে আমেরিকার সাথে কাজ করা আফগানিস্তানবাসী আছেন ঠিকই। কিন্তু তারা সংখ্যায় কম। বেশির ভাগই কাবুল বিমানবন্দরের হুড়োহুড়ির মধ্যে বিমানে উঠতে মরিয়া মানুষজন। তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে কি না, সেই প্রশ্নও মাথাচাড়া দিচ্ছে।

সূত্রের খবর, বিমানবন্দরে হামলা হতে পারে এমন ধারণা আমেরিকার ছিল। সে জন্যই আমেরিকার দীর্ঘতম যুদ্ধে যে সব স্থানীয় মানুষের সহায়তা নেয়া হয়েছিল, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী এবং সাংবাদিকদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেশ থেকে সরিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়। এমনকি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পর্যন্ত উদ্ধারকাজে এই অগ্রাধিকারের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, কাবুল বিমানবন্দরের হুড়োহুড়ির মধ্যে যারা আমেরিকার উদ্ধারকারী বিমানে উঠে পড়লেন, তারা আমেরিকার অগ্রাধিকারের তালিকায় আদৌ ছিলেন কি না তা নিয়ে সংশয় আছে।

বলা হচ্ছে, দোহার বৈঠকে তালেবানের দেয়া প্রতিশ্রুতির ওপর নির্ভর করছে আমেরিকা। কিন্তু উত্তর নেই তালেবান প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে কী হবে। আমেরিকার পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলছেন, ‘তালেবান প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে আর্থিক বিধিনিষেধ আরো প্রবল হবে।’ কিন্তু তাতে আফগানিস্তানে আটকে পড়া ‘বন্ধু’দের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যাবে কি? এটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ