সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, মারধর ও জোরপূর্বক গর্ভের সন্তান অপসারণের চেষ্টার ঘটনায় ধর্ষকের মায়ের বাগেরহাট মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদিকার পদ স্থগিত করেছে সংগঠনটি।
কেন্দ্রীয় মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দের নির্দেশে গত রোববার রাতে সংগঠনটির জরুরি সভায় এ্যাডভোকেট পারভীন আহমেদকে বাগেরহাট মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদিকার পদ স্থগিত করা হয়েছে। একই সাথে বাগেরহাট মহিলা পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদিকা ফাতেমা আহমেদ পারুলকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদিকা করা হযেছে। বাগেরহাট মহিলা পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট সীতা রানী দেবনাথ এ তথ্য জানান। জানা যায়, গত ৩০ আগস্ট সকালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা বাগেরহাট সদর থানায় তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, মারধর ও জোরপূর্বক গর্ভের সন্তান অপসারণের চেষ্টার অভিযোগে বাগেরহাট শহরের রেলরোডস্থ রেদওয়ান আহমেদ রাতুল, রাতুলের বাবা ফারুক আহমেদ মনি ও রাতুলের মা বাগেরহাট মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদিকা ও বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট পারভীন আহেমদের নামে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি প্রথমে গোপন রাখা হলেও পরে বিষয়টি নিয়ে শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এই মামলায় পারভীন আহেমদ ও তার স্বামী-সন্তানসহ সবাই পলাতক রয়েছেন।