নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং তার সাত নাম্বার জার্সি—এই তিনের সম্মেলন যে খেলাধুলার বাজারকে নাড়িয়ে দিবে, তা অনুমিতই ছিল। হলোও তাই! গত শুক্রবার মুক্তির প্রথম ১২ ঘণ্টার মধ্যেই রেকর্ড পরিমাণে রোনালদোর সাত নাম্বার জার্সি বিক্রি করেছে ইউনাইটেড। তবে ওল্ড ট্রাফোর্ডের সামনে এই জার্সির জন্য ভক্তদের জোয়ার নামলেও রোনালদোর জন্য দেওয়া ১.২৮ কোটি পাউন্ডের দলবদল ফি এখনো তুলতে পারেনি ইংলিশ ক্লাবটি।
প্রথম ১২ ঘণ্টায় প্রায় ৩.২৫ কোটি পাউন্ডের (৩৮৩ কোটি টাকা) জার্সি বিক্রি হয়েছে। এই সময়সীমার মধ্যে আর কোনো প্রিমিয়ার লিগ খেলোয়াড়ের জার্সিই এই পরিমাণে বিক্রিত হয়নি।
রোনালদোর নাম সম্বলিত এই ইউনাইটেড জার্সিগুলো বিক্রিত হচ্ছে ৮০ থেকে ১১০ পাউন্ডের মধ্যে। যার মানে, এরই মধ্যে পর্তুগিজ কিংবদন্তির প্রায় তিন থেকে চার লাখ জার্সি বিক্রি হয়ে গেছে। জ্যাক গ্রিলিশকে ছাপিয়ে তাই ইতোমধ্যেই এ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে জনপ্রিয় জার্সি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে রোনালদোর ৭।
ভক্তদের অতিরিক্ত চাহিদার মুখে রোনালদোর জার্সি সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে ইউনাইটেড এবং তাদের জার্সি প্রস্তুতকারী অ্যাডিডাস। তবে ভক্তরা প্রথম ১২ ঘণ্টায় ৩.২৮ কোটি পাউন্ড তুলে দিলেও, এই সুবিশাল অঙ্কের স্বল্প অংশই গিয়েছে ইউনাইটেডের হাতে। ২০১৪ সালে অ্যাডিডাসের সাথে ৭৫ কোটি পাউন্ডের বিনিময়ে ১০ বছরের চুক্তি করেছিল ইউনাইটেড। এ চুক্তির বিস্তারিত বিবরণী প্রকাশিত না হলেও সাধারণত কোনো জার্সি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ, ধরি ১০ লাখ কপি, বিক্রি হওয়ার পর যে অর্থ আসে তার ১০ শতাংশের মতো পেয়ে থাকে ক্লাব।
যার মানে, রোনালদোর ৮০ থেকে ১১০ পাউন্ড মূল্যের প্রতিটি জার্সি থেকে ৪.৫ থেকে ৬.২৫ শতাংশ আয় করতে পারছে ইউনাইটেড। যদি প্রথম ১২ ঘণ্টায় ৩.২৫ কোটি জার্সি বিক্রি করে থাকে অ্যাডিডাস, এবং প্রতি জাসির্র দাম গড়ে ৯০ পাউন্ড ধরা হয়, তাহলে সর্বমোট জার্সি বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার।
আর প্রতি জার্সি থেকে যদি ৫ পাউন্ড পেয়ে থাকে ইউনাইটেড, তাহলে রোনালদোর জার্সি বিক্রি করে ইতোমধ্যে ১৮ লাখ পাউন্ড (প্রায় ২১ কোটি টাকা) আয় করেছে ইংলিশ ক্লাবটি। অর্থাৎ, ইউনাইটেড এই পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর জার্সি বিক্রি করেই তার ১.২৮ কোটি টাকার দলবদল ফি তুলে ফেলার যে গুঞ্জন রটেছে, তা মোটেও সত্য না। তবে এটা শুধু প্রথম ১২ ঘণ্টার হিসাব। সামনে এই অর্থ তুলেও ফেলতে পারে ম্যানচেস্টারের ক্লাবটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।