Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৭০ বছর ধরে গড়ে তোলা সম্পদ মুষ্টিমেয় কয়েকজনের হাতে যাচ্ছে : পি চিদাম্বরম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

সম্পত্তির বিনিময়ে নগদীকরণের নামে সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করছে মোদি সরকার। গতকাল এ ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। মুম্বাইয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, ’৭০ বছর ধরে যা গড়ে তোলা হয়েছে, সেই সম্পদ মুষ্টিমেয় কয়েকজনের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এ বিপদ সম্বন্ধে মানুষের ওয়াকিবহাল হয়ে প্রতিবাদ করা উচিত।‘

অর্থনীতিতে একটা শব্দ আছে সম্পদ কেড়ে নেওয়া। এখানেও তাই করা হচ্ছে। এমন দাবি করে চিদাম্বরম বলেন, ‘এ প্রকল্প গ্রহণের আগে কোনও আলোচনা করা হয়নি। সংসদে কোনও বিতর্ক হয়নি। সরকারপক্ষ এ বিষয়ে কোনও আলোচনা করতে সম্মত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী কিংবা অর্থমন্ত্রী কেউ প্রশ্নের জবাব দেয়নি।’

সম্পদের বিনিময়ে নগদীকরণ অর্থাৎ ন্যাশনাল মনেটাইজেশন পাইপলাইন গত মাসে ঘোষিত হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আগামি ৪ বছরে ৬ লক্ষ কোটি টাকা কোষাগারে তুলবে মোদি সরকার। এদিকে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রণালয় সম্প্রতি ৬ লক্ষ কোটির নগদীকরণ প্রকল্প বা ন্যাশনাল মনেটাইজেশন পাইপলাইন হাতে নিয়েছে। কেন্দ্রের কোষাগার ভরতে সরকারি সম্পত্তি সাময়িকভাবে বেসরকারি হাতে দিয়ে অর্থ উপার্জনের এই নীতি এখন ঘরে-বাইরে সমালোচিত। গত মাসে রাহুল গান্ধী কেন্দ্রীয় এ নীতির সমালোচনায় বলেন, ’৭০ বছর দেশ যা গড়েছে, তাকে বেচে দিচ্ছে মোদি সরকার।‘ এবার রাহুলকে পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। নির্মলা সীতারমণ মুম্বাইয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস সাংসদকে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, ‘যদি রাহুল গান্ধী সত্যিই এই উদ্যোগের পিছনের উদ্দেশ্য বুঝতেন’। তার অভিযোগ, ‘ইউপিএ সরকারও দেশের সম্পদ, খনি, জমি বিক্রি করে নগদ কোষাগারে তুলেছে। ঘুষও পেয়েছে’।

২০০৮ সালের প্রথম ইউপিএ সরকারের এক উদ্যোগের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সীতারমণ বলেন, ‘পুনে-বম্বে হাইওয়ের মাধ্যমে ৮ হাজার কোটি টাকা কোষাগারে তুলেছিল কংগ্রেস। ২০০৮ সালে নিউ দিল্লি রেলস্টেশনকে লিজে দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করেছিল ইউপিএ সরকা ‘। সেই সময় তাহলে সেই প্রস্তাবের খসড়া ছিঁড়ে ফেলেননি কেন রাহুল গান্ধী? এভাবেও সরব হয়েছিলেন সীতারমণ। এদিকে, ৬ লাখ কোটি টাকার ‘ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন’ সরকারি সম্পত্তি বিক্রি নয়, বরং চার বছরের মেয়াদে কম ব্যবহার হওয়া সংস্থাগুলোকে বেসরকারি হাতে দিয়ে আর্থিক লাভ ঘরে তোলার চেষ্টা, এমনটাই দাবি করেছে কেন্দ্র। যদিও এর বিরুদ্ধে সরব বিরোধী কংগ্রেস-সহ তৃণমূল। বিকল্প পদ্ধতিতে কেন্দ্রের এই আর্থিক লাভের চেষ্টা আদতে সরকারি সম্পত্তি বিক্রি বলে অভিযোগ তাদের। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ