প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
তিন দফায় ৭ দিনের রিমান্ড আর ২৮ দিন কারাভোগের পর অবশেষে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। পরীমনি গ্রেপ্তারের সময় তার অনেক কাছের মানুষই তার পাশে দাঁড়ায়নি। এমনকি তার সংগঠন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি তার পাশে না দাঁড়িয়ে বরং তার সদস্যপদ স্থগিত করে। কিন্তু সেই শুরু থেকেই পরীমনিকে নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা কাজী হায়াৎ। পরীমনির জামিনের খবর শুনে এবার তাকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
পরীমনির উদ্দেশে কাজী হায়াৎ বলেন, ‘পরীমনিকে এখন দেখেশুনে পথ চলতে হবে। আমাদের দেশ তো পুরুষশাসিত। তাই অনুরোধ, দেখেশুনে যেন চলাফেরা করে। জীবনের অনেক সময় আছে। এখনো অনেক দেখার বিষয় আছে। দেখে শুনে যদি চলতে পারে, তাহলে ওর ভবিষ্যৎ অনেক ভালো। পরীমনিকেও তার আশপাশের মানুষকে চিনতে হবে। কারা তার প্রিয়জন, আর কারা শুধুই প্রয়োজন।’
কাজী হায়াৎ আরও বলেন, ‘সবার প্রতি আমার অনুরোধ- যারা তাকে নিয়ে কাজ করবে, তারা যেন ওকে সঠিকভাবে গাইডও করে। আর কেউ যেন তাকে মিসগাইড না করে। আমি তো আগে চিনতাম না, গ্রেপ্তারের পর চারদিক থেকে যতটা শুনেছি- মেয়েটি এমনিতে ভালো, শিল্পমনা। আমি এমনও শুনেছি, মেয়েটি প্রচণ্ড হৃদয়বান। আমাদের দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে এমন হৃদয়বান মেয়ে আগে আসেনি। মেয়েটি খুব দানশীল। আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় শুধু বলতে চাই, পরীমনিকে সঠিক গাইডেন্স দিয়ে ধরে রাখতে পারলে চলচ্চিত্রও উপকৃত হবে, পরীমনির জীবনও ভালো হবে। ওর মধ্যে শিল্পীসত্ত্বা আছে। শিল্পীসত্ত্বাকে বাঁচিয়ে রেখে গাইড করলে পরীমনিও ভালো করবে।’
এরআগে পরীমনি গ্রেপ্তারের পর একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক লেখায় কাজী হায়াৎ বলেছিলেন, ‘পরীমনির সৌন্দর্যই পরীমণির শত্রু। এ কারণেই বেশির ভাগ মানুষ তার সান্নিধ্যে গেছেন, যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কাছে যাওয়া এসব মানুষই তাকে বিপথে ঠেলে দিয়েছেন। আমি কোনোদিন পরীমনিকে কাছ থেকে দেখিনি। ইদানীং নানা মাধ্যমে তাকে দেখার সুযোগ হচ্ছে। এত সুন্দরী মেয়ে অনেক দিন বাংলা সিনেমায় আসেনি। আসলেই তিনি পরী।’
উল্লেখ্য, ৪ আগস্ট রাতে ঢাকার বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যসহ তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। মামলায় তিন দফায় সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। তৃতীয় দফা রিমান্ড শেষে বিচারক তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। টানা ১৯ দিন কারাগারে ছিলেন তিনি। অবশেষে জামিন পেয়ে মুক্ত হলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।