পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গ্রেফতার দুই নেতার মুক্তির দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। মিছিলে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। এই হামলায় অন্তত; ২১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব। তারা রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন জানান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান রনির গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং মুক্তির দাবিতে গতকাল সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের শহীদ সার্জেন্ট রুমী ভবনের (বিএনসিসি কার্যালয়) সামনে পৌঁছালে ৪০-৫০টি বাইকে করে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী সেখানে গিয়ে মোটরসাইকেলের হুইসেল বাজাতে থাকেন। একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ছাত্রদলের কিছু নেতা-কর্মীকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এতে ছাত্রদলের মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ছাত্রদলের মিছিলের ব্যানারটিতে আগুন ধরিয়ে সেটি শামসুন নাহার হলের পাশে অবস্থিত মিশুক মুনীর চত্বরে ফেলে দেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, সংগঠনের ঢাকা মহানগরসহ ঢাকার বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা ছাত্রদলের ওপর হামলায় অংশ নেন।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রদলের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ নয় বরং শোকের মাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরাই ইতিহাস বিকৃতকারীদের (ছাত্রদলকে) প্রতিহত করেছে। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ঘাতকদের যারা উত্তরাধিকারী, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা যাদের একমাত্র রাজনৈতিক অ্যাসাইনমেন্ট এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে যারা রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি হাসিল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ জানাবে এটাই স্বাভাবিক। ছাত্রলীগ কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে প্রশ্রয় দেয় না।
সাদ্দাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে সকলের একটি পরিচয় রয়েছে। শোকের মাসে ষড়যন্ত্রের কুশীলবদের শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই স্বাগত জানাতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সময় উপযোগী রাজনৈতিক অঙ্গিকার পূরণ করেছেন।
ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। সে একটি গাড়ির ভিতরে ছিল। তার লোকেরা আমাদের উপর হামলা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ছাত্রলীগের কেউ ছাত্রদলের উপর হামলা করেনি। এটা তাদের প্রোপাগান্ডা, ছাত্রলীগের উপর দোষ চাপাচ্ছে। আজকে দিনমজুরদের মধ্যে ছাত্রলীগের ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি ছিল। ত্রাণ কার্যক্রম শেষ করে আমরা যখন তাদের মিছিলের পাশ দিয়ে ফিরছিলাম, তখন একটি আ্যম্বুলেন্সের হর্ন বা কিছু একটা আওয়াজ বেজে উঠে। এতে তারা ভয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এখন ছাত্রলীগের উপর দোষ চাপাচ্ছে।
এদিকে এই ঘটনার পর বেলা একটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদল। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগ মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর বিনা কারণে হামলা করেছে। আমরা ছাত্রলীগের হামলা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু অস্ত্রের সামনে টিকতে পারিনি। আমরা কোনো সশস্ত্র সংগঠন নই। বারবার আমাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে।
রাকিবুল ইসলাম জানান, ছাত্রলীগের হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব আমানউল্লাহ আমানের একটি হাত ভেঙে গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম খান, হাসান আল আরিফ, এ বি এম এজাজুল কবির, শরীফ প্রধান, এনামুল হক, মাহমুদুল হাসান, আরিফুল ইসলাম, সদস্য এস এম দিদারুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, ফারহান আরিফ, নাসিরউদ্দিন শাওন, বিগত ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের এজিএস পদপ্রার্থী খোরশেদ আলম, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখার সভাপতি ওমর ফারুক, শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখার সভাপতি গাজী মো. সাদ্দাম হোসেন, ফজলুল হক মুসলিম হল শাখার সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, সূর্যসেন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু হান্নান তালুকদার, বিজয় একাত্তর হল শাখার সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন ও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখার সিনিয়র সভাপতি অলি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আকতার হোসেন বক্তব্য দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাছিরউদ্দীন নাছির, এইচ এম আবু জাফর, সোহেল রানা, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।