পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০ বছর আগে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ তালেবানকে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। এখন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বুশের শুরু করা যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটিয়ে সেই শত্রুর সাথে একটি অস্বস্তিকর অংশীদারিত্বের মধ্যে আবদ্ধ হয়েছে। সালাফিদের সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে ও মার্কিন নাগরিক এবং আফগান মিত্রদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেয়া ও সুরক্ষিত করার জন্য তালেবানদের উপর নির্ভর করতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার কাবুলের বিমান বন্দরে তালেবানের প্রতিদ্ব›দ্বী সালাফিদের ইসলামিক স্টেটের সহযোগী আইএসআইএস-কে’র বোমা হামলার পর মার্কিন জেনারেল ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘মার্কিন সেনাবাহিনী তালেবানদের তাদের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে সমন্বয় করতে এবং আইএসআইএস-কে’র হামলার ঝুঁকিপূর্ণ যুক্তরাষ্ট্রের চিহ্নিত রাস্তাগুলি বন্ধ করতে বলেছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সেই সব হামলার জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য যা যা করতে পারি তা করছি। এর মধ্যে রয়েছে তালেবানের সহায়তা নেয়া। এবং তারা এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আমরা তাদের সাথে সমন্বয় অব্যাহত রাখব।’
তালেবানরা এবং ইসলামিক স্টেট পরস্পরের শত্রæ যারা বারবার আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। একারণে আমেরিকান কর্মকর্তারা এখনও বিশ্বাস করেন যে, তারা ইসলামিক স্টেট বা অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আক্রমণ থামানোর জন্য তালেবানদের উপর নির্ভর করতে পারেন। কিন্তু বোমা হামলায় কয়েক ডজন মার্কিন সেনা ও আফগান নাগরিক নিহত হওয়ার আগেও মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে, আফগানিস্তান দখল করার সময় তালেবানের বহু বন্দি মুক্তির অনুমতি দেয়া একটি স্পষ্ট লক্ষণ যে, তারা অবিশ্বস্ত কার্যকলাপ করবে, যা যুক্তরাষ্ট্রকে বিপদে ফেলতে পারে।
বৃহস্পতিবার রাতে এমনকি বিমানবন্দরে বোমা হামলার পরও তারা তালেবানদের সাথে কাজ চালিয়ে গেছে। তবে, দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘সিআইএ আফগান সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য নির্মিত কাবুলের উপকণ্ঠে অবস্থিত একটি সাইট তালেবানের আয়ত্তের বাইরে রাখার জন্য ধ্বংস করে দেয়। এ অভিযান ছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবানের মধ্যে সম্পর্ক কতটা জটিল তার একটি কাঁচা উদাহরণ।
এ পরিকল্পনা সম্পর্কে ব্রিফিং করা মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, ‘প্রাথমিকভাবে বাইডেন প্রশাসনের চলতি মাসের সেনা প্রত্যাহার নিয়ে তালেবানদের সাথে কাজ করার কোনো ইচ্ছা ছিল না। হামলার দিন জেনারেল কেনেথ এফ. ম্যাকেঞ্জিকে তালেবান কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে, কাবুলে নিরাপত্তার অবনতি হচ্ছিল এবং শহরটিকে সুরক্ষিত করতে তাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।
ওই বৈঠকে উপস্থিত এক মার্কিন কর্মকর্তার বলেছেন যে, তালেবানরা নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিল। গত দুই সপ্তাহের মধ্যে, কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তালেবান কর্মকর্তাগণ এবং রিয়ার অ্যাডমিরাল পিটার জি. ভ্যাসেলিসহ আমেরিকান সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে পর্যায়ক্রমে কথোপকথন হয়েছে।
সিআইএ’র সর্বোচ্চ মাত্রার ক‚টনৈতিক অভিযানের পরিচালক উইলিয়াম জে বার্নসের সোমবারের কাবুল সফর আগামী বছরগুলিতে তালেবানের সাথে ধারাবাহিক সম্পর্কের সূচনা করতে পারে। কিন্তু সিআইএ তালেবানদের সাথে কতোটা আলোচনা এবং সহযোগিতা করবে, সম্ভবত তাদের আচরণের উপর নির্ভর করবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘যদি তালেবান ইসলামিক স্টেট এবং কায়েদার লক্ষ্যবস্তুতে হামলার অনুমতি দেয় এবং সন্ত্রাসী দলের উন্নয়ন সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে, তাহলে মার্কিন সরকারের তালেবানদের সহযোগিতা করার সম্ভাবনা বেশি।’ তবে, সেই সহযোগিতার ব্যাপ্তি নির্ভর করতে পারে বাইডেন ক্যাপিটল হিলে সেই পদ্ধতির জন্য কোন সমর্থন পান কিনা, তার ওপর।
বাইডেন এবং তার প্রশাসন তালেবানদের উপর নির্ভর করার বিষয়ে হতাশ কিনা, জানতে চাইলে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি শুক্রবার বলেছেন যে, প্রশাসন তার মিশন শেষ করার দিকে মনোনিবেশ করেছে। তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে আত্মবিশ্লেষণের জন যথেষ্ট সময় নেই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।