Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাবুল বিস্ফোরণে দায়ীদের চরম জবাব দেয়া হবে : বাইডেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০২১, ১০:৪৭ এএম | আপডেট : ১১:৪৫ এএম, ২৭ আগস্ট, ২০২১

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৩ মার্কিন সেনাসহ ১০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া এ ঘটনায় ২৮ জন তালেবান রক্ষীরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও সিবিসি এই খবর দিয়েছে। আল আরাবিয়্যাহ টিভি নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, বিস্ফোরণে ১৫৮ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই জরুরি বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পরে হোয়াইট হাউস থেকে এক টেলিভিশন বিবৃতিতে তিনি জানান, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের ছেড়ে দেয়া হবে না। সমূলে নির্মূল করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এ দিন রাতেই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে আইএসআইএস খোরাসান গোষ্ঠী। সম্প্রতি এই গোষ্ঠীটিকে নিয়ে সতর্ক করেছিল মার্কিন এবং যুক্তরাজ্যের সেনাবাহিনী। তারা জানিয়েছিল, কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে এ গোষ্ঠীটি অস্ত্র নিয়ে তৈরি হচ্ছে। যেকোনো সময় তারা আক্রমণ চালাতে পারে। বৃহস্পতিবার সে কথাই সত্য হলো। দুই আত্মঘাতী উগ্রবাদী কাবুল বিমানবন্দরের মূল ফটকে এবং বিমানবন্দর থেকে সামান্য দূরে বিস্ফোরণ ঘটায়। দুজনেই মানববোমা ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। একইসাথে গোলাগুলির শব্দও পাওয়া যায়।

বাইডেন বলেছেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আঘাত হানবে মার্কিন সেনাবাহিনী। তাদের চরম জবাব দেয়া হবে। তবে একইসাথে বাইডেন বলেছেন, বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উদ্ধারকাজ বন্ধ করা যাবে না। যে গতিতে উদ্ধারকাজ চলছে, তা জারি রাখা হবে। একইসাথে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, এই হামলার ঘটনার তালেবানের কোনো হাত নেই।

অপরদিকে ঘটনার পরে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের সেনাবাহিনীর কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি।

বাইডেন জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত প্রায় এক লাখ মানুষকে আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদেশী সংস্থায় কাজ করা বহু আফগানও আছেন। আর এক হাজার মার্কিন নাগরিক এখনো আফগানিস্তানে আটকে আছেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। ৩১ আগস্টের মধ্যই তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ৩১ অগাস্টের পর কোনোভাবেই মার্কিন সেনাবাহিনী আফগানিস্তানে থাকবেন না বলে এদিন ফের জানিয়েছেন বাইডেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবারের ঘটনার নিন্দায় গোটা বিশ্ব। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ঘটনার নিন্দা করেছেন। তবে দুজনেই জানিয়েছেন, তাদের দেশের নাগরিকদের আগেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। তাই বিস্ফোরণে তাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ক্যানাডাও একই কথা জানিয়েছে। সূত্র : ডয়চে ভেলে



 

Show all comments
  • abbas ২৭ আগস্ট, ২০২১, ৩:৩৫ পিএম says : 0
    বিষয়টা রহস্যাবৃত, যাদের কাছে এধরণের তথ্য ছিল এরপরও কেন সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করলো না। আবার তাদেরই নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে এত হতাহত। এটা চরম দায়িত্বহীনতা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ