Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টে তিন অভিনয়শিল্পী

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২১, ১১:৩৭ এএম

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২১-এর ৭ ধারা অনুযায়ী গঠন করা হয়েছে ট্রাস্টি বোর্ড। সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়েছে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের নাম। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে চেয়ারম্যান এবং প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ট্রাস্টের সদস্যসচিব করে প্রকাশ করা হয়েছে ১৪ সদস্যের কমিটি।

এই ট্রাস্টি বোর্ডে সদস্য হিসেবে জায়গা পেয়েছেন তিন অভিনয়শিল্পী। তারা হলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান সভাপতি মিশা সওদাগর, অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা।

ট্রাস্টি বোর্ডের বাকি ৮ জন সদস্য হলেন- ১. মাননীয় স্পিকার কর্তৃক মনোনীত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য অথবা অন্য যে কোনো একজন সংসদ সদস্য। ২.সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ৩.প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক মনোনীত কমপক্ষে মহাপরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। ৪.অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র), তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ৫.অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত কমপক্ষে যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। ৬.সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত কমপক্ষে যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন। ৭.ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন। ৮.সভাপতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি (চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান)।

জানা যায়, ট্রাস্টটি শিল্পীদের কল্যাণ সাধন ও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, অসমর্থ-অসচ্ছল বা পেশাগত কাজ করতে অক্ষম শিল্পীদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদান, দুস্থ-অসচ্ছল চলচ্চিত্র শিল্পীর মৃত্যু হলে তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার মতো কাজগুলো করবে।

এ ট্রাস্টি বোর্ড চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন- ২০২১ মেনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের কাজ সম্পাদন করবে। ট্রাস্টের আইনে সেলুলয়েড, অ্যানালগ, ডিজিটাল বা টেলিভিশনসহ অন্য যে কোনো মাধ্যমে নির্মিত চলচ্চিত্র, যেমন- পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য, টেলিফিল্ম, প্রামাণ্যচিত্র, কার্টুনচিত্র, অ্যানিমেশনচিত্র অন্তর্ভুক্ত।

আইনে ‘চলচ্চিত্র শিল্পী’ অর্থ চলচ্চিত্রে অভিনয়শিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরিচালক, চিত্রগ্রাহক, লাইটম্যান, নৃত্যশিল্পী, ব্যবস্থাপক, ফাইটার, রূপসজ্জা শিল্পীসহ চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজে নিয়োজিত কলাকুশলী এবং সরকার অনুমোদিত টেলিভিশন চ্যানেল কর্তৃক নির্মিত ও টেলিভিশন চ্যানেলে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের অভিনয় শিল্পীসহ অন্যান্য কলাকুশলীরা অন্তর্ভুক্ত হবেন।

প্রসঙ্গত, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ৩ জুলাই অনুষ্ঠিত অধিবেশনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণে ট্রাস্ট গঠনের বিল উপস্থাপন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আলোচনা শেষে কণ্ঠভোটে পাস হয় বিলটি। এর আগে, গত ৪ এপ্রিল দেশের চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণে ট্রাস্ট গঠনের লক্ষ্যে সংসদে বিল উত্থাপন করেছিলেন তথ্যমন্ত্রী। পরে বিলটি পরীক্ষা করে ৪৫ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছিল, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের সচিব হবেন কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এ পদে নিয়োগ দেবে সরকার। ১৩ সদস্যের বোর্ডের কথা বিলে বলা হয়েছিল। বিলে আরও বলা হয়েছিল, ট্রাস্টে তহবিল আসবে সরকারি অনুদান, দেশি-বিদেশি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অনুদান, লভ্যাংশ, ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠান ও সম্পদের আয় থেকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢালিউড

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ