Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রেফারিং নিয়ে বিরক্ত থাকলেও কিছু বলতে পারেননি ব্রুজন

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০২১, ৭:৩৫ পিএম

বাজে রেফারিংয়ের শিকার হয়েই এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসকে। এমন মন্তব্য অনেকের থাকলেও মুখ খুলতে পারেননি কিংসদের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজন। মঙ্গলবার মালদ্বীপের মালে জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি কাপে ‘ডি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে বসুন্ধরা ১-১ গোলে ভারতের মোহনবাগানের সঙ্গে ড্র করে আসর থেকে বিদায় নেয়। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিল বিপিএল চ্যাম্পিয়নদের ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরার লাল কার্ড। প্রথমার্ধের যোগকরা সময়ে (৪৫+৩ মিনিট) সুশান্তর পাওয়া লাল কার্ডই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেয় কিংসদের। তাই তো ম্যাচ শেষে মালে স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে মূল বিষয়ই ছিল রেফারিং।

তবে বসুন্ধরার স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজন সংবাদ সম্মেলনে তেমন কিছুই বলতে পারেননি। নিজেকে খুব কষ্টে সংবরণ করেছেন তিনি। তার কথায়,‘রেফারিং নিয়ে অনেক কিছুই বলার থাকলেও বলতে পারছিনা। রেফারিং নিয়ে আমি কিছু বললে ন্যূনতম ৩৫ ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারি। তাই আমি নিজে শান্ত থাকার চেষ্টা করছি।’ সুশান্তকে লাল কার্ড দেয়ার সিদ্ধান্তে ম্যাচে প্রভাব কেমন ছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে ব্রুজন বলেন, ‘মাঠে কী ঘটেছে তা সবাই দেখেছেন। আমাদের ক্লাবের সঙ্গে এ রকম আচরণ নতুন কিছু নয়। আগের ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষেও এমন হয়েছে।’

বসুন্ধরা-মোহগনবাগান ম্যাচে বাজে রেফারিং নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে ঢাকায়ও। জাতীয় দলের সাবেক ও বর্তমানে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের প্রধান কোচ সাইফুল বারী টিটু বুধবার সুশান্তের লালকার্ড সম্পর্কে বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি বেশ কঠিন ছিল। সুভাশীষ (মোহনবাগান) এবং সুশান্ত বল দখলের লড়াইয়ে ছিলেন। সুভাশীষের হাত সুশান্তের কাঁধে ছিল। পড়ে যাওয়ার পর সুশান্তের পা লেগেছিল কি না তা স্পষ্ট দেখা যায়নি। তবে এটা ঠিক এই লাল কার্ডই বসুন্ধরা কিংসকে ম্যাচ থেকে পিছিয়ে দিয়েছে।’

বাংলাদেশের সাবেক ফিফা রেফারি ও বর্তমান বাফুফের হেড অফ রেফারি আজাদ রহমান বলেন, ‘টিভিতে ফাউলটি সেভাবে বোঝা যায়নি। রেফারি ঘটনার খুব কাছে ছিলেন। লাল কার্ড সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে রেফারি নিশ্চিত হয়েই দেন। রেফারি এই সিদ্ধান্তটি দিয়েছেন সহকারি এবং চতুর্থ রেফারির সঙ্গে আলোচনা করেই।’

ফিফার সহকারি রেফারি সুজিত ব্যানার্জী চন্দনের কথায়, ‘এটা ভায়োলেন্ট কন্ট্যাক্ট নিঃসন্দেহে। এসব ক্ষেত্রে রেফারি ইন্ট্যানসেটির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেন। রেফারি চাইলে লাল কার্ড না দেখালেও পারতেন। কিন্তু রেফারিং আইনে লাল কার্ড দেখানোকে অবৈধ বলা যাবে না। মোহনবাগানের খেলোয়াড়কেও চাইলে কার্ড দেখাতে পারতেন রেফারি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফুটবল

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ