মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানে সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘আফগানিস্তানে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তালেবান দেশটির ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের উন্নয়ন, বিশেষ করে নারীদের ওপর এই পরিস্থিতির প্রভাব কতটা পড়ে সে বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’ বুধবার (২৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
আলজাজিরা জানিয়েছে, আফগানিস্তানে ২০২১ সালে ৭৮ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার অর্থায়নের অঙ্গীকার করেছিল বিশ্বব্যাংক। কিন্তু আফগান ভূখণ্ডে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাংক সহায়তা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ায় দেশটির অর্থনীতি আবারও অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে গেল।
বিশ্বব্যাংকের ওই মুখপাত্র জানান, ‘আফগানিস্তানে আমাদের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। দেশটির আভ্যন্তরীণ নীতি মূল্যায়নের মাধ্যমে আমরা আফগানিস্তানের পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছি।’
এদিকে আফগানিস্তানের বহু মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছে এবং তাদের জরুরি সহায়তা দেওয়া দরকার বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটির প্রধান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আফগানিস্তানের লাখ লাখ মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছেন এবং এটি কার্যত ‘একটি বিপর্যয়ের ওপরে আরও একটি বিপর্যয়’।
ডব্লিউএফপি’র প্রধান জানিয়েছেন, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত আফগানিস্তানে ৯৪০ মিলিয়ন ডলারের ১২টির মতো উন্নয়নমূলক প্রকল্প ছিল বিশ্বব্যাংকের। পৃথকভাবে, প্রতিষ্ঠানটির আফগানিস্তান পুনর্গঠন ট্রাস্ট ফান্ডের ১.২ বিলিয়ন ডলারের ১৫টি প্রকল্প ছিল বলে বিশ্বব্যাংকের এপ্রিলের আপডেটে বলা হয়। বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, ২০০২ সাল থেকে এ পর্যন্ত পুনর্গঠন এবং উন্নয়নমূলক প্রকল্পে দেশটিকে ৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে তারা।
এর আগে, গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা স্থগিত করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তালেবান কাবুল দখল করে নেওয়ার প্রেক্ষাপটে দেশটির নতুন সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়টি পরিষ্কার না হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।
দুই দশক পর মার্কিন ও ন্যাটো সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে গেলে কাবুলের পতনের মধ্য দিয়ে দ্রুতই আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এরইমধ্যে তারা সরকার গঠনের বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে। সরকার গঠন না করলেও নতুন দুই মন্ত্রী ও গোয়েন্দাপ্রধানের নাম ঘোষণা করেছে তালেবান। মন্ত্রী দুজন অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
আফগানিস্তানের বার্তা সংস্থা পাজহোকের বরাত দিয়ে রয়টার্স মঙ্গলবার এ তথ্য জানায়। খবরে বলা হয়, অর্থমন্ত্রী করা হয়েছে গুল আগাকে, ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সদর ইব্রাহিম ও নাজিবুল্লাহ হবেন গোয়েন্দাপ্রধান। এছাড়া কাবুলের গভর্নর করা হয়েছে মোল্লা শিরিনকে। আর রাজধানীর মেয়র হলেন হামদুল্লাহ নোমানি। এর মধ্যে আফগানিস্তানের দ্য আফগানিস্তান ব্যাংকের (ডিএবি) নতুন গভর্নর হিসেবে হাজি মোহাম্মদ ইদ্রিসকে নিয়োগ দিয়েছে তালেবান।
আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে আসার পর সেখানকার নারীদের স্বাধীনতা, ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, খেলাধুলা, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে বিশ্বমহল। সূত্র : বিবিসি, আল জাজিরা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।