পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিশ্বব্যাংক ২০২৩ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির মতো বাংলাদেশেও জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও কমিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলেছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের ৫ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হতে পারে এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে সংস্থাটি থেকে বলা হয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হতে পারে। তার আগে জুনে পূর্বাভাস দিয়েছিল, ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। অবশ্য ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য ধরেছে সরকার।
‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস জানুয়ারি ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে হতাশার কথা জানিয়ে এই পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে সংস্থাটির সদর দফতর থেকে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলেছে, বিশ্বের প্রায় সবচেয়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সুদের হার বৃদ্ধি, বিনিয়োগ হ্রাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি তীব্রভাবে মন্থর হচ্ছে। এ কারণে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি তলানিতে নেমে আসবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ইউরো জোন, এমনকি চীনের অর্থনীতির অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। তবে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৬ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে বলে আভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ২০২২ সালের জুনে সংস্থাটি বলেছিল, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ হবে বলে আভাস দিয়েছিল। গত মঙ্গলবার তা কমিয়ে ১ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে আনলো। এই প্রবৃদ্ধি গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে এই প্রবৃদ্ধি বেড়ে ২ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে বলে ধারণা করছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, করোনা মহামারির কারণে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। আর গত অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ। গত বছরের অক্টোবরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছিল, ২০২৩ সাল বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে আসতে পারে। প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির দৃষ্টিভঙ্গি অবনতির সঙ্গে সঙ্গে উন্নয়নের সংকট তীব্রতর হচ্ছে। উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিশাল ঋণের বোঝা এবং বিনিয়োগ কমার কারণে বৈশ্বিক জিপিডি প্রবৃদ্ধি তলানিতে নেমে এসে বহু বছরের সময়কালের মুখোমুখি হচ্ছে বিশ্ব।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, পাকিস্তানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে হবে ২ শতাংশ; ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হতে পারে ৩ দশমিক ২ শতাংশ। এ ছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে; ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হবে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। আর ভুটানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪ দশমিক ১ শতাংশ, নেপালে ৫ দশমিক ১ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কায় ৪ দশমিক ২ শতাংশ নেগেটিভ (মাইনাস) প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এর আগে গত বছরের ৬ অক্টোবর প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছিল, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপিতে ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হতে পারে। এর আগে জুনে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।