Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কিংসদের কাঁদিয়ে সেমিতে মোহনবাগান

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

কিংসরা নয়, এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) কাপে ‘ডি’ গ্রুপ সেরা হয়েই আন্তঃআঞ্চলিক প্লে-অফের সেমিফাইনালে গেল ভারতের মোহনবাগানই। গ্রুপের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রথমে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ড্র করেছে দশজনের দল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। গতকাল বিকালে মালদ্বীপ জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বসুন্ধরা-মোহনবাগান ম্যাচটি ১-১ গোলে অমিমাংসিতভাবে শেষ হয়। মোহনবাগান তিন ম্যাচের দু’টি জিতে ও এক ড্র’তে ৭ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে এএফসি কাপের আন্তঃআঞ্চলিক প্লে-অফের সেমিফাইনালে জায়গা পেলেও সমান ম্যাচে এক জয় ও দুই ড্র’তে ৫ পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় বসুন্ধরা।
মোহনবাগান শক্তিশালী দল হলেও বিপিএল চ্যাম্পিয়নরা তাদের বিপক্ষে বুক চিতিয়েই লড়েছে। শুরু থেকে কিংসরা আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিয়ে মোহনবাগানের রক্ষণদূর্গে কাঁপন জাগায়। ম্যাচের ১৩ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় বাংলাদেশের দলটি। এসময় প্রতিপক্ষ বক্সের সামনে ইরানি ডিফেন্ডার খালেদ শাফেই’র হেড থেকে পাওয়া বলে তপু বর্মণ হেড নিলে তা প্রতিহত করেন মোহনবাগানের এক ডিফেন্ডার। পরের মিনিটে বসুন্ধরার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড রাউল অস্কার বেসেরার দূরপাল্লার শট বাইরে চলে যায়। ১৯ মিনিটে অল্পের জন্য বেঁচে যায় বসুন্ধরা। মোহনবাগানের অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ড ডেভিড উইলিয়ামস বল নিয়ে কিংস রক্ষণদূর্গে ঢুকে পাস দেন লিস্টন কোলাকু’কে। কিন্তু গোলবার ফাঁকা পেয়েও বল বাইরে মারেন কোলাকু। ২৩ মিনিটে মোহনবাগানের ফিজিয়ান ফরোয়ার্ড রয় কৃষ্ণার বাইসাইকেল কিকে বল অল্পের জন্য জালে জড়ায়নি। পাল্টা আক্রমণে গিয়ে ম্যাচের ২৮ মিনিটে গোল আদায় করে নেয় বসুন্ধরা। এসময় স্বদেশী ফরোয়ার্ড রবিনহোর সঙ্গে বল আদান-প্রদান করে মোহনবাগান বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের দারুণ কোনাকুনি শটে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার জোনাথন ফার্নান্দেজ (১-০)। এগিয়ে যাওয়ার উৎসবে মেতে উঠে বসুন্ধরা। কিন্তু প্রথমার্ধের যোগকরা সময়ে (৪৫+৩ মিনিট) সেই উৎসব বিষাদে রূপ নেয়। সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বসুন্ধরার ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা। বল নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে মোহনবাগানের সুশান্তের ঘাড়ের উপর উঠে মাটিতে পড়ে যান সুশান্ত। আহত হয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়ার সময় কিংসের এই ডিফেন্ডারকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ফলে দশ জনের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে একজন কম নিয়ে খেলা বসুন্ধরার দুর্বলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাচে সমতা আনে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলতে থাকেন তপু বর্মণরা। সবাই নিচে নেমে প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলানোর ঝুঁকি নেন কিংস ফুটবলাররা। যার খেসারত দিতে হয় তাদের। সুযোগ বুঝে মোহনবাগান অলআউট ফুটবল খেলে ৬২ মিনিটে গোল করে সমতা আনে। এসময় বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠা মোহানবাগানের লিস্টন কোলাকুর কাট ব্যাক থেকে পাওয়া বল সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন অস্ট্রেলিয়ান ডেভিড উইলিয়ামস (১-১)। ম্যাচের বাকি সময় দু’দলই একাধিক গোলের সুযোগ পেয়ে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুযোগটি নষ্ট হয় বসুন্ধরার। ৮৪ মিনিটে কিংসের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসনের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে সেখানেই ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায় ম্যাচের।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফুটবল

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ