Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এক মাসের মধ্যেই উঠছে কার্পেটিং

কামাল আতাতুর্ক মিসেল : | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

সড়ক সংস্কারের এক মাসের মধ্যেই ওঠে গেছে সড়কের কার্পেটিং। এরই মধ্যে ফের ওই সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। জোড়াতালি দিয়ে কাজ করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। ফের দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রী ও পথচারীরা। রাজশাহীর তানোর পৌরসভায় এলজিইডির অর্থায়নে নগর উন্নয়ন প্রকল্প থেকে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ৯টি রাস্তা সংস্কার ও নির্মাণ কাজে নিম্নমানের পাথর ও বিটুমিন ব্যাবহারের অভিযোগ এলাকাবাসীর। ফলে রাস্তা সংস্কারের এক মাসেই হাত দিয়ে টানলেই ওঠে যাচ্ছে পিচ ও পাথর। স্থানীয়ভাবে জানা যায়, এলজিইডির অর্থায়নে নগর উন্নয়ন প্রকল্প থেকে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ২২০০ মিটার সড়ক সংস্কার ও নির্মাণ কাজ গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে গোকুল দরগাতলা মোড় থেকে তালন্দ বাজার পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার (রিপিয়ারিং) পিচ ঢালাই কাজের উদ্বোধন করেন তানোর পৌরসভা মেয়র ইমরুল হক।
পৌরসভার তালন্দ উপরপাড়া (বাহ্যাড়্যা), ধানতৈড় মোড় থেকে রফিকের বাড়ি, গুবিরপাড়া মহল্লার এই মাথা থেকে ওই মাথা হয়ে আহম্মদের বাড়ি থেকে সিন্দুকাই মাঠ, বাবুর গ্যারেজ থেকে তানোর (কুঠিপাড়া) পোস্ট অফিস, গোল্লাপাড়া বাজার থেকে ভিতরে মসজিদ, আমশো তাঁতিয়ালপাড়া আজাদের কারখানা থেকে আলফাজের বাড়ি ও কাশিমবাজার আক্কাচের দোকান থেকে ভদ্রখন্ড মসজিদ পর্যন্ত সড়ক সংস্কার ও নির্মাণ কাজ শুরু করেন ঠিকাদার আবুল হাসনাথ। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে এসব কাজ শেষ না করে বিভিন্ন অজুহাতে সময় বাড়ানো হলে বর্তমানে কাজ চলমান রয়েছে। ফলে সংস্কার হচ্ছে একদিকে, অন্যদিকে ভারীবর্ষণে সড়কের কোথাও কোথাও গর্ত হয়ে জলাবদ্ধার সৃষ্টি হওয়ায় কার্পেটিং ওঠে যাচ্ছে। যার ফলে মানুষের চলাচলে দুর্গতি নেমে এসেছে। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর।
তালন্দ এলাকার বাসিন্দা গফুর মিয়া দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সড়কের এই অংশের কাজ জোড়াতালি দিয়ে শেষ করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশে ঠিকই বিলের টাকা তুলে নিয়েছে। মাঝখান থেকে আগের মতোই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা।
সিএনজি চালক মনোয়ার হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু পিচ উঠে গিয়ে সড়কটি বেহাল। দেখভালের কেউ নেই। খানাখন্দের কারণে গাড়ির যন্ত্রাংশ দ্রুত বিকল হয়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের গালমন্দ শুনতে হচ্ছে।
তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আবুল হাসনাথ দাবি করেন, কাজের মান কোথাও খারাপ হয়নি। সড়কের ওপরের অংশে সংস্কারকাজ করা হয়েছে। রাস্তা দিয়ে পাথর নেওয়ার জন্য ভারী যানবাহন চলাচল করছে। এছাড়াও দু’পাশের দোকানগুলো রাস্তা থেকে বেশি উঁচুতে। এতে রাস্তায় পানি জমে যায়। এ কারণে অনেক স্থানে পিচ উঠে খানাখন্দ সৃষ্টি হতে পারে।
এ বিষয়ে পৌরসভার প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ সঠিক নয়। তবে ভারী যানবাহন ব্যবহারে রাস্তার কার্পেটিং উঠে যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র ইমরুল হক বলেন, রাস্তা ও ড্রেন সংস্কার আর নির্মাণে ভালোমন্দ বোঝেন ইঞ্জিনিয়ার। কেউ ম্যানেজ হয়ে রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম করলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ