Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কার্পেটিং ওঠা গর্তে আটকা পড়ে যানবাহন জনদুর্ভোগ চরমে

প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এসকেএম নুর হোসেন, পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে

চট্টগ্রামের পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের পাচুঁরিয়া থেকে কোলাগাঁও ইউনিয়নের কোলাগাঁওয়ের টেক সড়কের বেহাল দশায় জন দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক হওয়ার পরও সড়কটি চলাচল উপযোগী করছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সড়কটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় শিল্পএলাকার কার্ভাড ভ্যান, কন্টেইনারবাহী ট্রাক, ট্রেইলর, ভারী যানবাহন প্রতিনিয়ত আটকে পড়ছে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ৫০-৬০টি ট্রাক (যার ওজন ৫০ টনের অধিক) আসা যাওয়া করে। যা শিকলবাহা পাওয়ার প্ল্যান্টের নতুন ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সিলেটের পাথর আনা-নেয়া করে। এত ছোট সড়কে এই অধিক পরিমাণ ভারী ট্রাক চলাচলের ফলে সড়কটির কার্পেটিং ও পাথর উঠে গিয়ে এখন এটি খালে পরিণত হয়েছে। যার দরুণ এ রোডে নিয়মিত চলাচলকারী গাড়িগুলো প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। উক্ত সড়কের হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সম্মুখে পর পর দুইটি বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি মৃদু বৃষ্টির পড়াতে গর্তগুলোতে পানি জমে থাকতে দেখা যায়। এতে দ্রুতগামী যানবাহন দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উক্ত সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে খানাখন্দকে ভরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চরকনাই সফর আলী মুন্সির হাটে পূর্বে উক্ত সড়কে ২০টি ট্রাক সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলে পটিয়া থেকে শহরমুখী যাত্রীদের চরম দুভোর্গে পড়তে হয়। মারাত্মক ঝুঁিকর মাঝে চলছে সড়কটি দিয়ে যানবাহন ও জন চলাচল। এ সড়ক দিয়ে শিকলবাহা এলাকায় নির্মিতব্য ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাঁচামালবাহী গাড়ি ও পার্শ¦বর্তী ৬টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন, ফোর এইচ গ্রুপ, এনার্জি প্যাকের মতো শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যের প্রায় অর্ধশত ভারী যানবাহন আটকে রয়েছে। এছাড়া উক্ত সড়ক দিয়ে হুলাইন ছালেহ নুর কলেজ, চরকানাই উচ্চ বিদ্যালয়, হাবিলাসদ্বীপ উচ্চ বিদ্যালয়, লাখেরা উচ্চ বিদ্যালয়, কালারপোল উচ্চ বিদ্যালয় ও কালারপোল অহিদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসাসহ ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭ সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থী নিয়মিত আসা যাওয়া করে। পড়তে হচ্ছে দুর্ভোগে। এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা ও পটিয়া আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, উপজেলার পাচুঁরিয়া থেকে শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত খানাকন্দকে ভরা। প্রতিনিয়ত মালবাহী ভারী যানগুলো আটকে পরে। যানজট আর খানখন্দকের কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো ঠিক মতো পৌঁছাতে না পারায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা সৃষ্টি হচ্ছে। অবিলম্বে উক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫ কিলোমিটারের এ সড়কটি সংস্কার করা না হলে ভবিষ্যতে আরো বড় দুর্ঘটনার শিকার হতে হবে। হাবিলাসদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, এ সড়কটি দিয়ে নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাঁচামালবাহী ভারী যান চলাচল করছে। প্রতিনিয়ত শতাধিক বড় ট্রাক এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে আসছে। ফলে এলাকার সাধারণ লোকজন দুর্ভোগের শিকার প্রতিনিয়ত। সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মাননীয় এমপি মহোদয়কে জানানো হয়েছে। তবে দ্রুত সংস্কারের জন্য খুব শীঘ্রই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কার্পেটিং ওঠা গর্তে আটকা পড়ে যানবাহন জনদুর্ভোগ চরমে
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ