মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানে ঝুঁকির মধ্যে থাকা আফগান নাগরিক এবং মার্কিনিদের উদ্ধার অভিযানে সাহায্য করার জন্য বাণিজ্যিক বিমানগুলো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার পেন্টাগনের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৮টি বিমান কাবুল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়বে না, বরং এর পরিবর্তে সেগুলো তৃতীয় দেশে যেতে ইচ্ছুক লোকদের স্থানান্তরিত করতে সাহায্য করবে।
কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে হাজার হাজার আফগান ভিড় করছে। গত সপ্তাহে তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা দেশ ছেড়ে পালাতে মরিয়া। বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলার কারণে এপর্যন্ত অন্তত ২০ জন নিহত হওয়ার খবর রয়টার্সকে জানিয়েছেন ন্যাটোর এক কর্মকর্তা। তবে বিমানবন্দরের পরিস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় রোববার কিছুটা শান্ত ছিল বলে খবর পাওয়া গেছে। এর আগের দিন শনিবার বিমানবন্দরের বাইরে ভিড়ের চাপে হুড়োহুড়িতে ৭ জনের মৃত্যু হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের দিনের তুলনায় রোববার সেখানকার পরিস্থিতি অনেক শান্ত ছিল।
যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর মন্ত্রী জেমস হেপ্পি বলেছেন, তালেবানরা এখন হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব নিয়েছে। এই পদক্ষেপ আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার প্রত্যাশীদের জন্য প্রক্রিয়াটিকে আরও দ্রুততর করেছে। উদ্ধার অভিযানে ছয়টি বাণিজ্যিক এয়ারলাইন্সকে যাত্রীবাহী বিমান দিয়ে সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পেণ্টাগন জানিয়েছে, তারা ১৮ টি বাণিজ্যিক বিমানকে আফগানিস্তান থেকে আসা মানুষজনকে বহনের কাজে ডেকেছে। এর মধ্যে চারটি ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের, তিনটি আমেরিকান এয়ারলাইন্সের, তিনটি আটলাস, তিনটি ডেল্টা এবং তিনটি অমনি এয়ারের এবং দুটি হাওয়াই এয়ারলাইন্সের বিমান।
যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে লোকজনকে সরিয়ে আনার কাজ ত্বরান্বিত করার চেষ্টা মধ্যে এই পদক্ষেপ নিল। এর মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে তালেবান নিয়ন্ত্রণ ফেরার পর লোকজনকে উদ্ধারের এই প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ারই চিত্র স্পষ্ট হয়েছে। রোববার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ ‘সিভিল রিজার্ভ এয়ার ফ্লিট’ (সিআরএএফ) এর এই সহায়তায় নামার ঘোষণা দিয়েছে। এতে করে জরুরি পরিস্থিতিতে সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করতে বাণিজ্যিক বিমান ব্যবহার হচ্ছে।
এবার নিয়ে মাত্র তৃতীয়বারের মতো মার্কিন সামরিক বাহিনী বাণিজ্যিক বিমান কাজে লাগাচ্ছে। এর আগে ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসন এবং তারও আগে ১৯৯০-৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধের আগে দিয়ে এবং যুদ্ধ চলাকালে বাণিজ্যিক বিমানের এমন ব্যবহার হয়েছিল। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।