বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লার মুরাদনগরে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে নিজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন শ্রীকাইল কৃষ্ণ কুমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম ওই বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি শিক্ষক ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার টুকরাহোন গাছা গ্রামের শিহাব উদ্দিনের ছেলে। ২০১৫ সালে সে ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, একই স্কুলের ছাত্রী হওয়ায় তার বাসায় গিয়ে বিজ্ঞান বিষয়ে প্রাইভেট পড়াতেন শিক্ষক শরিফুল ইসলাম। শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে তার বাবা-মা শিক্ষক আর প্রাইভেট পড়াতে হবে না বলে বাসায় যেতে বারণ করলেও ক্ষান্ত হয়নি শরিফুল ইসলাম। গত বছরের নভেম্বর মাসে উপজেলা পর্যায়ে কুইজ প্রতিযোগীতার অংশ হিসেবে স্কুলে প্রস্তুতিমূলক ক্লাসে ওই ছাত্রীকে নানা ভাবে শরিফুল ইসলাম যৌন হয়রানি করেন।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন শিক্ষক শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন সরকারের নিকট মৌখিক অভিযোগ করলে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে অভিযোগের পর থেকে শিক্ষক শরিফুল ইসলামের শুরু হয় নতুন কৌশল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে (Pai Sobuj) নামের একটি আইডি থেকে শুরু হয় ওই শিক্ষার্থীর নামে বিভিন্ন ধরণের কু-রুচিপূর্ণ মন্তব্য। বিষয়টি নজরে আসার পর গত ১৪ আগষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থীর মা।
শ্রীকাইল কৃষ্ণ কুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন সরকার বলেন, গত ১৪ আগস্ট বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের নিকট থেকে সহকারী শিক্ষক শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানী চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা সভা করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১৮ আগস্ট শোকজ পত্র পাঠিয়েছি। সেখানে সাত কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগের সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত সহকারি শিক্ষক শরিফুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, শোকজ পেয়েছি, যথাসময়ে জবাব দেয়া হবে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর মা বলেন, উক্ত বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি যথাযথ পদক্ষেপ না নেন, তাহলে আমরা শিক্ষক শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিব।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিচ্ছি। দোষ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।