মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মেক্সিকোর পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় গ্রেস। শনিবার ঝড়ো বাতাস আর ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যা দেখা দেওয়ায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি স্থানীয় সময় শনিবার ঘণ্টায় ২০১ কিলোমিটার গতিবেগে ভেরাক্রুজ অঙ্গরাজ্যের টেকোলুটলার রিসোর্টের কাছের উপকূলে আঘাত হানে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় উপকূলীয় এলাকায়। দেশটির রাজ্যের সরকার জানায়, গ্রেসের কারণে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ভেরাক্রুজ-এর রাজধানী জালাপাতে ভূমিধসে একই পরিবারের ছয় সদস্য মারা যান। দেশজুড়ে এখনও রাষ্ট্রীয় জরুরি সতর্কতা বহাল রয়েছে। স্থানীয় টেলিভিশনের খবরে দেখানো হয়েছে, অতি বৃষ্টিতে সৃষ্টি বন্যায় জালপালা শহরের পথ-ঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। শহরের কাছে অক্টোপ্যান নদীর তীর ভেঙে স্থানীয় একটি হাইওয়ে প্লাবিত। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে অনেক জায়গার গাছ ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বন্যায় তলিয়ে যাওয়ায় ভবন এবং গাড়ি ক্ষতিগ্রস্তের দৃশ্য প্রকাশ হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় বন্যার পানিতে প্লাবিত থাকায় সেখানকার মানুষকে উদ্ধারে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। চলতি বছরের মধ্যে মেক্সিকোতে এখন পর্যন্ত এটিই শক্তিশালী ঝড়। অপরদিকে, নিউ ইয়র্ক সিটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের দিকে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে। হেনরি নামের এই ঝড়টিকে সামনে রেখে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন নিউ ইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো। গভর্নরের সরকারি ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, হ্যারিকেন হেনরির হুমকির মুখে গভর্নর কুমো ব্রঙ্কস, কিংস, নাসাউ, নিউ ইয়র্ক সিটি, কুইন্স, রিচমন্ড, সফক, ওয়েস্টচেস্টার, পুটনাম, রকল্যান্ড, অরেঞ্জ, ডাচেস, সুলিভান, কলম্বিয়া, ডেলাওয়্যার, গ্রিন, ব্রুম, চেনাঙ্গো, ওটসেগো ও রেনসেলেয়ার, স্কোহারি, আলবেনি, মন্টগোমারি, শেনেকটডি, সারাতোগা এবং সংলগ্ন কাউন্টিগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ড এবং নিউ ইংল্যান্ডের দক্ষিণ অংশে এটি আছড়ে পড়তে পারে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৭৫ মাইল (১২০ কিলোমিটার)। এর পাশাপাশি উপদ্রুত এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হতে পারে। গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এই ঝড়টি মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে ন্যাশনাল গার্ডসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে তীব্র বাতাসের পাশাপাশি বন্যা দেখা দিতে পারে। ফেডারেল ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি’র প্রশাসক ডেয়ান ক্রিসওয়েল। সংবাদমাধ্যম সিএনএন’কে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য ঘূর্ণিঝড়ের মতো কোনও ধরনের ভূমিধস তৈরি না করলেও হারিকেন হেনরিকে আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার দরকার। কেননা, ব্যাপক বাতাস ও ঝড়ের কারণে এটি অনেক বেশি ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে।’ সিএনএন, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।