Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বাউফলের শাহিন চেয়ারম্যানসহ ৬ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০২১, ৬:৩৫ পিএম

পটুয়াখালীর বাউফলের আলোচিত কনকদিয়া ইউনিয়নের শাহিন চেয়ারম্যান সহ ৬ জনকে ১০ টাকা কেজি দরে হতদরিদ্রদের চাল আত্মসাৎয়ের অভিযোগে দুদুকের দায়েরকৃত মামলায় জামিন না মনজুর করে জেলা হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন পটুয়াখালীর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রোখশানা শারমীন। এ ছাড়া বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে গ্রহনকরে আদালতে দুদুকের দায়েরকৃত অভিযোগপত্র গ্রহণ পূর্বক বিচারের নিমিত্তে বিজ্ঞ স্পেশাল জজ আদালতের বিচারের জন্য প্রেরণ করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৬ সালের ২২ ও২৪ আগস্ট বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের ২৩৩ জন স্বচ্ছল ব্যাক্তিকে হতদরিদ্র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ৩০ কেজি করে ৬৯৯০ কেজি চালের মূল্যবাবদ ২লাখ ৫৯ হাজার ৩০৮ টাকা অনিয়মের মাধ্যমে বিতরনপূর্বক ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়ম করেছেন মর্মে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।পরবর্তীতে দুদক প্রাথমিক অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ জানুয়ারী ২০১৮ তারিখ বাউফল থানায় চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে ১ নং আসামী,চাল বিতরণ কার্যক্রমের ট্যাগ অফিসার তৎকালীন বাউফলের উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে সাইদুর রহমানকে ৩ নং (বর্তমান বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা) সহ ৬ জনকে আসামী করে বাউফল থানায় অভিযোগ পত্র দায়ের করেন তৎকালীন জেলা দুদকের উপসহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস। ঐ দিনই বাউফল থানা পুলিশ শাহিন হাওলাদার ও ট্যাগ অফিসার সাইদুর রহমানকে গ্রেফতার করেন,পরের দিন ২৯ তারিখ তারা আদালত থেকে জামিন পান। ৩ মে ২০১৮ ১ লাখ ৬০ হাজার ৭৭০ টাকা এবং ১২ অগাস্ট ২০১৮ ২৮হাজার ৬৩৮ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেন চেয়ারম্যান । পরবর্তীতে দুদকের উপসহকারী পরিচালক মানিক লালের চূড়ান্ত রিপোর্টের বলে ৩.৩.১৯ তারিখে সিনিয়র স্পেশাল জজ জামিন দেন। কিন্তু টাকা জমা দেয়ার প্রেক্ষিতে চূড়ান্ত রিপোর্ট অগ্রাহ্য পূর্বক পুনরায় ১৯ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে পুন:তদন্তের আদেশ দেন আদালত। দুদক পটুয়াখালীর উপসহকারী পরিচালক মো: আরিফ হোসেন ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ তারিখ ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ট্যাগ অফিসার বর্তমানে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমানকে ১ নং আসামী, চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে ২নং আসামী করে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আজ অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানীর ধার্য তারিখে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার, বর্তমানে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান সহ বিভিন্ন সময় আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিনে থাকা ৬ জন হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত সকলের জামিন না মনজুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ সহ মামলাটি আমলে গ্রহনকরে আদালতে দুদুকের দায়েরকৃত অভিযোগপত্র গ্রহণ পূর্বক বিচারের নিমিত্তে বিজ্ঞ স্পেশাল জজ আদালতের বিচারের জন্য প্রেরণ করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন দুদকের পিপি কেবিএম আরিফুল হক টিটো, আসামী পক্ষে এ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন ও এ্যাডভোকেট কমল দত্ত।

উল্লেখ যে, গত ২৫জুন সালিস বৈঠকে এক কিশোরীকে জোড় পূর্বক বিয়ে করে ব্যাপক সমালোচিত হন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। এর আগে তিনি সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর করে ব্যাপক সমালোচিত হন। শাহিন হাওলাদার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক । তিনি ওই ইউপি থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে পর পর দুই বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পটুয়াখালী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ