মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জিম্বাবুয়ের ৬৬ বছর বয়সী মিশেক নায়ানডোরোর জীবনের লক্ষ্য ১০০ স্ত্রী এবং ১০০০ সন্তানের জনক হওয়া। এই মনোবাসনা পূরণ করতে একের পর এক বিয়ে ও সন্তান জন্ম দিতে ব্যস্ত এক তিনি। বর্তমানে তার ১৬ জন স্ত্রী আছেন। ১৫১ সন্তানের জনক হয়েও খুশি নন তিনি। কারণ তার লক্ষ্য ১০০০ সন্তানের বাবা হওয়া।–ডেইলি মেইল
অদ্ভুত এই মনোবাসনা পূরণ করতে সন্তান জন্ম দিতে ব্যস্ত তিনি। বর্তমানে তার দুই স্ত্রী গর্ভবতী। এই দুই সন্তান জন্ম নিলে তার ঘরে হবে ১৫৩ সন্তান। বেঁচে থাকাকালীন একেকটি সন্তান জন্ম দিতেই থাকবেন বলে প্রত্যাশী ৬৬ বছরের মিশেক। তিনি কোনো কাজই করেন না। তার প্রধান কাজই হলো স্ত্রীদের খুশি রাখা। অন্যদিকে তার স্ত্রীরা তাকে খুশি রাখেন এবং বাড়ির সব কাজকর্ম ও সন্তান পালন করেন।
এবারের শীতে মিশেক তার ১৭ তম বিবাহের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার পরিকল্পনা অনুসারে, একে একে ১০০টি বিয়ে করবেন। তবে তিনি যেকোনো নারীকেই বিয়ে করেন না। তার পছন্দ অনুযায়ী হতে হবে কনে। পাত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কম বয়সীদের বেছে নেন মিশেক। কারণ কম বয়সীরা না-কি বেশি সংখ্যক সন্তান জন্ম দিতে পারেন। মিশেকের পরিবার কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। তাই এতো বড় পরিবার হওয়ায় উপকৃতই হচ্ছেন বলে জানান তিনি। তার মতে, দেড় শতাধিক সন্তান এবং ১৬জন স্ত্রীর দেখাশুনা সবই আমিই করি।
কৃষিকাজের মাধ্যমেই আমরা স্বচ্ছল জীবনযাপন করছি। সম্প্রতি এমভুরভি পাহাড়ের কাছে ৯৩ হেক্টর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মিশেক জানান, তার সন্তানদের মধ্যে অন্তত ৫০ জন লেখাপড়া করছে। এ ছাড়াও তার ছেলে সন্তানদের মধ্যে জিম্বাবুয়ে ন্যাশনাল আর্মিতে ৬ জন, ২ জন পুলিশ এবং ১১ জন অন্য পেশায় নিযুক্ত আছেন। ১৩ কন্যাকে বিবাহও দিয়েছেন মিশেক। তার পুত্রদের মধ্যে কমপক্ষে ২৩ জন বিবাহিত। এমনকি তার একটি সন্তান এ পর্যন্ত চারটি বিয়ে করেছেন।
বহুবিবাহ করার পরও মানসিক চাপমুক্ত জীবনযাপন করছেন মিশেক। কারণ সারাদিন অবসরেই সময় কাটান মিশেক। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, তার প্রত্যেক স্ত্রী স্বামীর জন্য সুস্বাদু সব খাবার রান্না করেন। যে খাবার সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু হয়; শুধু সেটিই খান। বাকিগুলো ফেলে দেন মিশেক। স্ত্রীদের উদ্দেশ্যে মিশেক বলেন, তারা বিধিগুলো জানেন বলেই যে খাবার পছন্দ হয় না, সেটি ফেরত পাঠালেও রাগ করেন না। মিশেল সর্বশেষ ২০১৫ সালে বিয়ে করেছিলেন। তারপর জিম্বাবুয়ের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সংক্ষিপ্ত বিরতি নেন। তবে ২০২১ সালে বিবাহবন্ধনে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।