মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। এজন্য তারা প্রয়োজনীয় ওষুধের একটি জাতীয় মজুদ গড়ে তুলতে কাজ শুরু করেছে। শুরুতে, ১৫টি ওষুধের স্টক বাড়ানো ও রক্ষণাবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির, অ্যান্টিবায়োটিক টোকিলিজুমাব, এবং ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ অ্যামফোটেরিসিন বি। টেন্ডারের মাধ্যমে এই ওষুধগুলো সংগ্রহ করা হবে বলে সরকারী সূত্রগুলো জানিয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিল-জুন মাসে ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় রেমডেসিভির, টোকিলিজুমাব, বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক এবং আইসিইউ’র জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যাপক ঘাটতি দেখা যায়। রোধ করতে পারে। এই সুযোগে সারা দেশে রেমডেসিভির এবং টোকিলিজুমাবের মতো কিছু ওষুধ বিপুল দামে কালো বাজারে বিক্রি শুরু হয়, যা সাধারণ মানুষকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার প্রয়োজনীয় ওষুধগুলো মজুদ করার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, রেমডেসিভিরের ক্ষেত্রে, সম্প্রতি দরপত্র জারি করা হয়েছে এবং কোম্পানিগুলো এটি সরবরাহ শুরু করেছে। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে, ৫০ লাখ শিশি রেমিডেসিভিরের স্টক তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নত করতে জুলাই মাসে কেন্দ্র কর্তৃক অনুমোদিত ২৩ হাজার ১২৩ কোটি রুপির প্যাকেজ থেকে জাতীয় মজুদকে অর্থায়ন করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেন্দ্র সরকার একটি অক্সিজেন সরবরাহ কৌশলও তৈরি করেছে এবং আইসিইউ প্রস্তুতির দিকে মনোনিবেশ করছে। প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার মেডিকেল বেড এবং ২০ হাজার আইসিইউ তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। নতুন প্যাকেজের আওতায় কেন্দ্র সরকার ১৫ হাজার কোটি রুপি প্রদান করবে এবং রাজ্যগুলো ৮ হাজার ১২৩ কোটি রুপি দেবে। চিকিৎসা অবকাঠামো উন্নত করতে ৭৩৬টি জেলায় যৌথভাবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
কেন্দ্রের পাশাপাশি গুজরাট সহ কিছু রাজ্যও তৃতীয় তরঙ্গের আশঙ্কায় অপরিহার্য কোভিড-সম্পর্কিত ওষুধের তালিকা তৈরির জন্য অনুরূপ মহড়া শুরু করেছে। এমনকি মজুদ করার পাশাপাশি, কোম্পানিগুলোকেও নির্দিষ্ট ওষুধের পর্যাপ্ত স্টক বজায় রাখতে বলা হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে করোনা সংক্রমণ কমে গেলে, কোম্পানিগুলো চাহিদা কমে যাওয়ায় এসব ওষুধের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছিল।
এ বিষয়ে একজন শিল্প বিশেষজ্ঞ এর আগে বলেছিলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে নেয়া শিক্ষার উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেন এবং অন্যান্য সামগ্রীর কৌশলগত মজুদ গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার একই বিষয়ে কাজ করছে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে অনুরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলায়। কোম্পানিগুলো তাদের উৎপাদন চক্র এবং ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করছে যাতে জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে ক্রিটিক্যাল ওষুধ দ্রুত পাওয়া যায়।’ সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।