গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন বলেছেন, রাজধানীর বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় এমিকনের গোডাউনে আগুনের ঘটনা তদন্ত করা হবে। কারো গাফিলতি পাওয়া গেলে কিংবা গোডাউনে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকলে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (২১) দুপুর আড়াইটায় ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, আগুনের খবর পাওয়ার খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। ভবনটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় আগুন লাগে। এখানে এমিকন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের শোরুম ও কারখানা ছিল। যেখানে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ ছিল। ফলে আগুনের নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণ হলেও ভবনের ভেতরে প্রচুর তাপ রয়েছে। সেই তাপটা আমরা বের করার চেষ্টা করছি। এখানে কোনো ধরনের হতাহতের খবর আমরা পায়নি।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ৪ ঘণ্টার মতো সময় কেন লেগেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগুনটি মূলত একটি গোডাউনে লেগেছিল। গোডাউনে বিভিন্ন মালামাল থাকায় আগুন অনেকক্ষণ জ্বলছিল। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে অনেক আগেই এসেছে। সম্পূর্ণ নির্বাপণ করতে আরও কিছু সময় লাগবে।
প্রতিবারই আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয় ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না, পরে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে ফায়ারের ডিজি বলেন, ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা সব সময় নেওয়া হয়। আগুন লাগার পর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে জানিয়ে দেওয়া হয় যেন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এ ঘটনায়ও তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।